রোববার দুপুরে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে
ক্ষয়ক্ষতির এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি রাষ্ট্রের সম্পদ
ধ্বংসকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান।
স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কয়েক দফা ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা।
তারা জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলোসহ সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো মেরামতে ২ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে। সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতি টাকার অংকে আনুমানিক ৫ কোটি টাকা হবে।
তান্ডব ও
সহিংসতার বর্ণনা করে তিনি বলেন, “২৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে ৪০০-৫০০ মাদ্রাসা ছাত্র এবং দুস্কৃতিকারীরা শহরের কাউতলি এলাকার জেলা পরিষদের ডাককাংলোর প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।“
“এ সময় ডাকবাংলোতে অবস্থানরত তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দারোয়ান কাম কেয়ারটেকার কোনো রকমে আত্মরক্ষা করে। এছাড়া বাংলোর তৃতীয় তলার উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত একজন শ্রমিক লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।“
শফিকুল আলম আরও বলেন, ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে বিভিন্ন
মাদ্রাসার ছাত্র ও দুস্কৃতিকারীরা জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ভবনের আঙিনায় থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
পরে কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে নিচতলায় অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা গ্যারেজে থাকা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর দ্বিতীয়তলায় এসে বিভিন্ন কক্ষের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, সচিব মেহের নিগার উপস্থিত ছিলেন।
হেফাজত তাণ্ডব: অতিরিক্ত সচিবের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিদর্শন
হেফাজত তাণ্ডব: রাস্তায় বসে দায়িত্ব গ্রহণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়রের
হেফাজতের হরতাল: জেলায় জেলায় তাণ্ডব