প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কার্যকারিতার দিক থেকে ফাইজার ও মর্ডানাসহ অন্যান্য টিকার তুলনায় চীনের টিকাগুলো পিছিয়ে আছে কিন্তু এগুলো সংরক্ষণের জন্য তেমন কঠোরভাবে তাপামাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় না।
চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক গাও ফু শনিবার জানিয়েছেন, যে টিকাগুলোর ‘সুরক্ষার হার খুব বেশি না’ সেগুলো আরও কার্যকর করার একটি পন্থা লোকজনকে বিভিন্ন টিকার ডোজ দেওয়া।
তবে তিনি বিদেশি না দেশি টিকার কথা বলছেন তা নির্দিষ্ট করে জানাননি।
চীনের চেংদু শহরে এক সম্মেলনে গাও বলেছেন, “টিকা কার্যক্রমে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত লাইনের টিকা ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।”
টিকা প্রক্রিয়াটিকে আরও ‘আশাপ্রদ’ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডোজের সংখ্যা পরিবর্তনসহ ডোজের মধ্যবর্তী সময় পরিবর্তন কার্যকারিতা ইস্যুর একটি ‘নির্দিষ্ট’ সমাধান।
ব্রাজিলের তৃতীয় পর্যায়ের একটি ট্রায়াল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেকের উৎপাদিত টিকার দুটি ইঞ্জেকশন যখন তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দেওয়া হয়েছে তখন ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ কার্যকর বলে দেখা গেছে।
পিয়ার রিভিউয়ের আগে ব্রাজিলীয় গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া ৫০ শতাংশ কার্যকারিতা সীমা থেকে কম।
কিন্তু তিন সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে এমন এটি ছোট উপদল থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে কার্যকারিতার হার বেড়ে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ওই ট্রায়ালে টিকাটির সার্বিক কার্যকারিতার হার ৫০ শতাংশের সামান্য একটু উপরে বলে দেখা গেছে।
চীন চারটি টিকা উৎপাদন করেছে যেগুলো জনসাধারণের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও উৎপাদিত আরেকটি টিকা সীমিত পর্যায়ে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।