জোহানেসবার্গে সোমবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৬ উইকেটে। এইডেন মারক্রামের ঝড়ো ফিফটিতে ১৪১ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ৩৬ বল বাকি থাকতে।
চার ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা। নিয়মিত খেলোয়াড়দের বেশ কয়েক জনকে ছাড়াই সিরিজটি খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দা ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ফিফটিতে দলের জয়ের নায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান এবার পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ। লিন্ডের করা ম্যাচের প্রথম বলেই মিড অফে ক্যাচ দেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
বাঁহাতি স্পিনার লিন্ডে পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন ফখর জামানের অসুস্থতায় সুযোগ পাওয়া শারজিল খানকে। ২০১৭ পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা শারজিল ১২ বলে করেন ৮ রান।
সফরকারীরা শুরুর ধাক্কা সামাল দেয় বাবর ও মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটে। দারুণ কিছু বাউন্ডারি মারেন ৪০ বছর বয়সী হাফিজ। একাদশ ওভারে আক্রমণে ফিরে তাকে কট বিহাইন্ড করে ৫৮ রানের জুটি ভাঙেন লিন্ডে। হাফিজের ২৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস সাজানো ৬টি চারে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ায় আর কোনো জুটি ২৫ স্পর্শ করতে পারেনি। হায়দার আলিকে টিকতে দেননি তাবরাইজ শামসি। ফাহিম আশরাফ ও হাসান আলিকে দ্রুত বিদায় করেন লিজাড উইলিয়ামস।
ধীর গতিতে দলকে টানেন বাবর। ফিফটি করতে লাগে তার ৪৯ বল। এরপরই তিনি বোল্ড হয়ে যান সিসান্ডা মাগালার বলে। ৫০ বলে ৫ চারে ঠিক ৫০ রান করেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
রান তাড়ায় মারক্রাম ও ইয়ানেমান মালানের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম চার ওভারে দুই জনে তোলেন ৩৮ রান। পরের ওভারে ইয়ানেমানকে ফিরিয়ে ৪৪ রানের জুটি ভাঙেন হাসান। ১০ বলে ২ ছক্কায় ডানহাতি ব্যাটসম্যান করেন ১৫ রান।
মোহাম্মদ হাসনাইনের চার বলে তিনটি চার মারার পর ফিরে যান উইহান লুবে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মারক্রাম ফিফটি স্পর্শ করেন ২৮ বলে। লেগ স্পিনার উসমান কাদিরকে ছক্কায় উড়াতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়ে শেষ হয় তার ৫৪ রানের ইনিংস। ৩০ বলের ইনিংসে ৭টি চারের সঙ্গে ছক্কা ৩টি।
উসমান এরপর টিকতে দেননি পিট ফন বিলিয়োনকে। লিন্ডের সঙ্গে ২২ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটিতে বাকিটা সারেন হাইনরিখ ক্লাসেন।
২১ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন টেম্বা বাভুমার অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ক্লাসেন। ১০ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান করেন লিন্ডে। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৪০/৯ (রিজওয়ান ০, শারজিল ৮, বাবর ৫০, হাফিজ ৩২, হায়দার ১২, ফাহিম ৫, হাসান ১২, নওয়াজ ২, আফ্রিদি ৭*, কাদির ৪, হাসনাইন ০*; লিন্ডে ৪-০-২৩-৩, হেনড্রিকস ৪-০-২৭-০, শামসি ৪-০-২২-১, উইলিয়ামস ৪-০-৩৫-৩, মাগালা ৪-০-৩২-১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: (লক্ষ্য ১৪১) ১৪ ওভারে ১৪১/৪ (মালান ১৫, মারক্রাম ৫৪, লুবে ১২, ক্লাসেন ৩৬*, বিলিয়োন ২, লিন্ডে ২০*, আফ্রিদি ৩-০-৩০-০, নওয়াজ ৩-০-২৯-০, হাসনাইন ২-০-২৫-১, হাসান ২-০-১৬-১, উসমান ৩-০-২৬-২, ফাহিম ১-০-১৪-০)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: চার টি-টোয়েন্টির সিরিজে দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা
ম্যান অব দা ম্যাচ: জর্জ লিন্ডে।