ক্যাটাগরি

আইনজীবীদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের জন্য আবেদন সু চি’র

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সোমবারে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেওয়া এক শুনানিতে এই আবেদন করেন সু চি।

মিয়ানমারের গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনাঅভ্যুত্থানকালে নির্বাচিত নেতা সু চি’কে আটক করে বন্দি করা হয়। তার বিরুদ্ধে সামরিক জান্তার আনা অভিযোগে তাকে অনেক বছর আটক থাকতে হতে পারে, বলা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া সু চিকে আটক করার পর তার বিরুদ্ধে ঔপনিবেশিক সময়ের গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে আনা হয়। গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘনে দোষী সাব্যস্ত হলে সু চি’র ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

তাকে শুধুমাত্র নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতিতে নিজ আইনজীবীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলাপ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে একান্তে সরাসরি সাক্ষাত করার সুযোগ পাননি সু চি।

তার আইনজীবী মিন মিন সো রয়টার্সকে জানান, চলতি জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ এবং তাতে ৭০০ মানুষের প্রাণহানি- এসব কোন বিষয়েই সু চি’র সঙ্গে তাকে আলাপ করার দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

“শুধুমাত্র আইনি বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করার সুযোগ হয়েছে,” জানান মিন মিন সো।

এ আইনজীবী আরও জানান, সু চি সুস্থ আছেন এবং তার আগামী শুনানির তারিখ ২৬ এপ্রিল।

সরকারী গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি সু চি’র বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ছয়টি ওয়াকিটকি রাখার এবং করোনাভাইরাস প্রোটোকল লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগও করেছে।

অভিযোগগুলোকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সু চি’র আইনজীবীরা আর জান্তাবাহিনীর ঘুষের অভিযোগটিকে রসিকতা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তারা।