যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার গান্ধী মূর্তির নিচে ধর্নায় বসার হুমকি দিয়ে মমতা টুইট করেছেন বলে জানায় কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার।
মমতা টুইটে লেখেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমি আগামীকাল বেলা ১২টা থেকে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসছি।”
To protest against the undemocratic and unconstitutional decision of the Election Commission of India, I will sit on dharna tomorrow at Gandhi Murti, Kolkata from 12 noon.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 12, 2021
পত্রিকাটি জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৮টার দিকে মমতার প্রচারের উপর নির্বাচন কমিশনের ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা আরোপের খবর আসে। মঙ্গলবার রাত ৮টায় ওই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে।
এনডিটিভি জানায়, বিদায়ী নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরার এটাই শেষ নির্দেশ।
পশ্চিমবঙ্গে জোরেশোরে চলছে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার। নির্বাচনে মোট আট দফায় ভোট গ্রহণ হবে। এরইমধ্যে চার দফায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আরা চার দফা বাকি।
গত ২৮ মার্চ ও ৭ এপ্রিল তারকেশ্বর ও কোচবিহারে জনসভায় মমতা যা বলেছেন তার কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে আগেই তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
আনন্দবাজার জানায়, তারকেশ্বরে মমতা কারো নাম উল্লেখ না করে বলেছিলেন, ‘‘সংখ্যালঘু ভাই ও বোনেরা আপনাদের ভোট ভাগ হতে দেবেন না। মনে রাখবেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সমূহ বিপদ, সবচেয়ে বেশি আপনাদের।”
জাত-পাত-ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল, যদি কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে তার প্রার্থীতা খারিজও করা হতে পারে। তারপরই মমতাকে নোটিশ পাঠানো হয়।
অন্যদিকে কোচবিহারে ৭ মার্চের ভাষণে মমতা বলেছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ‘নির্দেশে’ সিআরপিএফর একাংশ ভোটের মাঠে বিজেপির হয়ে কাজ করছে।
তাদের প্রতিহত করতে তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিআরপিএফ যদি গণ্ডগোল করে তবে মেয়েদের একটি দল ওদের ঘেরাও করে রাখবেন। আর একটি দল ভোট দিতে যাবেন। শুধু ঘেরাও করে রাখলে ভোট দেওয়া হবে না। তাই ভোট নষ্ট করবেন না।”
সিআরপিএফ নিয়ে মমতার এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েও চিঠি পাঠায় কমিশন। উভয় নোটিশে মমতার জবাব কমিশনের কাছে ‘সন্তোষজনক’ মনে হয়নি। তাই তার উপর ২৪ ঘণ্টার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তৃণমূল নেতারা যার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।