পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে সোমবারের ম্যাচে এরপরও অবশ্য দুটি উইকেট পেতে পারতেন রাজস্থান
রয়্যালসের এই পেসার। তার বলে একটি এলবিডব্লিউর রিভিউ নেননি অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন।
অনেক উপরে উঠে যাওয়া এক ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি জস বাটলার।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২২১ রান করেছে
পাঞ্জাব।
৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য মুস্তাফিজ।
দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে পান মুস্তাফিজ। দ্বিতীয় বলেই পেতে পারতেন মায়াঙ্ক আগারওয়ালের
উইকেট। বাঁহাতি পেসারের ইনসুইঙ্গার ব্যাটে খেলতে পারেননি এই ওপেনার, লাগে প্যাডে। রিভিউ
নেননি অধিনায়ক।
পরে দেখা যায়, বল আঘাত হানতো লেগ স্টাম্পে। শেষ বলে বাউন্ডারি হজম করেন মুস্তাফিজ।
ওই ওভার থেকে আসে ১১ রান।
পাওয়ার প্লেতে আবার মুস্তাফিজকে আক্রমণে আনেন স্যামসন। এবার সামনে ছিলেন ক্রিস
গেইল। মুস্তাফিজকে স্ট্রেইট ড্রাইভে বাউন্ডারি মারেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ওভার থেকে
আসে ৮ রান।
২৮ বলে ৪০ রান করে দশম ওভারে ফিরে যান গেইল।
ক্রিজে গিয়েই ঝড় তোলেন দিপক হুদা। রাহুলের সঙ্গে দ্রুত জমে যায় তার জুটি। রান আসতে
থাকে বানের জলের মতো।
বোলাররা যেন বল ফেলার জায়গা পাচ্ছিলেন না।
একের পর এক ছক্কায় বল উড়ছিল এদিক, ওদিক। বিপজ্জনক জুটি ভাঙতে ১৫তম ওভারে মুস্তাফিজকে
আক্রমণে আনেন স্যামসন।
তার আশা পূরণ প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। প্রথম বলেই
উইকেট পেতে পারতেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসারের কাটারে অনেক উপরে ক্যাচ তুলে দেন
হুদা। কাভার থেকে ছুটে এসে ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি বাটলার। সে সময় ১৬ বলে ৩৯ রানে
ছিলেন হুদা। জুটির রান ছিল ৬১।
পরে রাহুলের ব্যাটের কানায় লেগে মুস্তাফিজ
হজম করেন ছক্কা। সেই ওভার থেকে আসে ১১ রান।
১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে শুরুটা বেশ ভালো হয়েছিল। প্রথম দুই বলে দেন দুটি সিঙ্গেল।
কিন্তু তৃতীয় বলটি ‘নো’ বল করে ফেলেন মুস্তাফিজ। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। শেষ চার
বলে দেন ১৩ রান।
৪ ওভার বাঁহাতি এই পেসার ডট খেলাতে পেরেছেন কেবল চারটি বল। একটি নো বলের সঙ্গে
ওয়াইড তিনটি।
দারুণ ব্যাটিংয়ে আশা জাগিয়েও সেঞ্চুরি পাননি রাহুল। পাঞ্জাব অধিনায়ক ৫০ বলে ৫
ছক্কা ও ৭ চারে করেন ৯১ রান। তার সঙ্গে ৪৭ বলে ১০৫ রানের জুটি গড়া হুদা করেন ৬৪ রান।
তার ২৮ বলের বিস্ফোরক ইনিংসে ৬ ছক্কা পাশে চারটি চার।