ক্যাটাগরি

ফরিদপুরে যৌনকর্মীদের মানববন্ধন নেত্রীর বিরুদ্ধে

এই অভিযোগে সোমবার
পল্লীর কয়েকশ যৌনকর্মী শহরের প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে মানববন্ধন করেছেন।

মানববন্ধনে যৌনকর্মীরা
ছাড়াও হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ এলাকাবাসীও অংশ নেন।

যৌনকর্মীরা ‘জয় নারী
কল্যাণ সংঘ’ নামের সমিতিতে তাদের জমানো টাকা ফেরত চান এবং আলেয়া বেগম নামের এই
নারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। 

মানববন্ধনে লিখিত
অভিযোগে বলা হয়, জয় নারী কল্যাণ সংঘের সভানেত্রী আলেয়া বেগম যৌনকর্মীদের কাছ থেকে
জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, তুচ্ছ ঘটনায় নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শারীরিক ও মানসিক
নির্যাতন করে আসছেন। বাইরে থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের এনে দেহ ব্যবসা করাচ্ছেন।

আলেয়া বেগম মানব
পাচারের সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ তুলে তারা তার শাস্তিও দাবি করেন।

বাজারের ব্যবসায়ী নেতা
ইলিয়াস শেখ বলেন, আলেয়া বেগম হিজড়াদেরও পতিতা পল্লীতে এনে ব্যবসা করাচ্ছেন। কিন্তু
এটি তো হিজড়াদের পল্লী না।

“তারা খদ্দের ধরতে
বাজারের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা ব্যবসায়ী সমাজ এবং স্থানীয়রা ছেলেমেয়ে নিয়ে
ওই এলাকায় বসবাস করতে পারি না।”

যৌনপল্লীর কয়েকজন নারী বলেন,
বিপদ-আপদের সহায় হিসেবে ১৬ বছর আগে থেকে তারা প্রতি মাসে ১০ টাকা করে আলেয়া বেগমের
সমিতিতে জমা করে আসছেন। কিন্তু তদের কোনো বিপদে এই সমিতি থেকে সাহায্য করা হয় না। তারা
তাদের জমা করা এই টাকা ফেরত চান।

মানববন্ধনে আরও অভিযোগ
করা হয়, আলেয়া বেগমের এসব অপকর্মের অভিযোগ করলে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া
ছাড়াও সন্ত্রাসী দিয়ে নির্যাতন ও নানাভাবে হয়রানি করা হয়।

মানববন্ধন শেষে তারা
ফরিদপুর পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছেন। 

এই ব্যাপারে আলেয়া বেগম
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর আমরা আবার সংগঠন চালু
করছি। আমাদের কাছে যৌনকর্মীদের কোনো টাকা জমা নেই। মহিলা অধিদপ্তর আমাদের সংগঠন
অডিট করে।

“এখানে দুই সহোদন বোন
আছেন। তাদের পারিবারিক বিরোধের কারণে এখন আমাদের সংগঠনের নামে এসব বলছে।”

হিজড়াদের ব্যাপারে তিনি
বলেন, এখানকার এক নারীর ছেলের বাড়িতে কয়েকজন হিজড়া থাকে। তবে তারা কাউকে উৎপাত করে
না।

আলেয়ার বিরুদ্ধে করা অন্যান্য
অভিযোগও সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। 

এই যৌনপল্লীতে সাড়ে
তিনশয়ের মতো নারী আছে বলে জানিয়েছেন তারা।