ক্যাটাগরি

বিজিএমইএর সভাপতি হলেন ফারুক হাসান

ফারুক হাসান

ফারুক হাসান

সোমবার নির্বাচিত
পরিচালকদের মধ্যে ‘অফিস বেয়ারার’ কমিটির নির্বাচনে সভাপতি হয়েছেন তিনি।

অপ্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থী হিসেবে ফারুক সভাপতি নির্বাচিত হন বলে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সচিব
অবসরপ্রাপ্ত মেজর রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে।

গত ৪ এপ্রিল
অনুষ্ঠিত পরিচালক নির্বাচনে ফারুক হাসানের সম্মিলিত পরিষদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫টি
পরিচালক পদের মধ্যে ২৪টিতে জেতে। আর বর্তমান সভাপতি ‍রুবানা হকের প্যানেল ‘ফোরাম’ জেতে
বাকি ১১টি পরিচালক পদে।

অফিস বেয়ারার
কমিটিতে চট্টগ্রামের পোশাক ব্যবসায়ী ওয়েল ডিজাইনার্সের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রথম সহ
সভাপতি হয়েছেন। ঢাকার পোশাক ব্যবসায়ী সেহা ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী
লীগ নেতা এসএম মান্নান কচি হয়েছেন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি।

অন্যান্য সহ
সভাপতিদের মধ্যে রয়েছেন ক্লাসিক ফ্যাশনসের শহীদউল্লাহ আজিম, ডিজাইন টেক্সট নিটওয়্যারের
খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মিসামি গার্মেন্টের মিরান আলী, সাদমা ফ্যাশন্স ওয়্যারের
নাছির উদ্দিন এবং চট্টগ্রামের পোশাক ব্যবসায়ী এইচকেসি অ্যাপারেলের রকিবুল আলম
চৌধুরী।

মঙ্গলবার সীমিত
পরিসরে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজিএমইএর একাধিক ব্যক্তি নিশ্চিত
করেছেন।

বিজিএমইএ সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ফারুক
 

রাতে এক
প্রতিক্রিয়ায় বিজিএমইএর নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর হবে। তবে মহামারী পরিস্থিতির
কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না।

“এখন সবচেয়ে বড় বিষয়
হচ্ছে কোভিডকে মোকাবেলা করার জন্য ফ্যাক্টরিগুলোতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে
কাজ চালিয়ে নেওয়ার কাজটি শুরু করা। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি সরকার দেখবে না,
মালিকদেরকেই সেটা দেখতে হবে।”

সংগঠনে নেতৃত্ব
দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “আগামীতে আমার কাজ হবে বিজিএমইএকে ঐক্যবদ্ধ রাখা। কারণ গত
দুই বছরে একটু বিভক্তি হয়েছে, নির্বাচনের সময় সেই বিভক্তি আরও বেড়েছে, সেটাকে আগের
অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।

“সাথে সাথে পোশাক
খাতের ব্যাকওয়ার্ড, ফরোয়ার্ড খাতকে এগিয়ে নিতে সমন্বিতভাবে কাজ করা শুরু করব। কীভাবে
বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা যায়, পোশাক খাতকে ব্র্যান্ডিং করা যায়, নতুন মার্কেট
খুঁজে বের করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করব।”

ফারুক বলেন, “পণ্যের
বৈচিত্র্য নিয়ে আসা ও মেন মেইড ফাইবার পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করা আমাদের জন্য এখন
খুবই প্রয়োজন। বেইসিক পাঁচটা আইটেমের বাইরে গিয়ে হাই ভ্যালু আইটেম পণ্য তৈরিতে
মনোযোগ দিতে হবে। এসব কাজগুলো আগামীতে করতে হবে বলে আমি মনে করি।”