সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং লকডাউন বিবেচনা করে পহেলা বৈশাখ ১৪২৮ বুধবার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সশরীরে কোনো মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হবে না।
“তবে প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি মঙ্গল শোভাযাত্রার বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রদর্শন ও সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
এছাড়া বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গণজমায়েতও করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বৈশাখের প্রথম দিন, অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল থেকেই দেশে শুরু হচ্ছে এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’। এস সময় সব অফিস, গণপরিবহন বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই সময় অতি জরুরি দরকার ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলা বর্ষবরণকে সামনে রেখে বরাবরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের দেয়ালে আাঁকা হয়েছে আল্পনা। তবে মহামারীর কারণে এবারও হচ্ছে না মঙ্গলবার শোভাযাত্রা।
সরকারি প্রজ্ঞাপনের পরই মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিলের ঘোষণা এলো।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছরও পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়নি। তবে মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষকে গুরুত্ব দিয়ে এবার মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমিত পরিসরে ১০০ জনের ‘প্রতীকী’ মঙ্গল শোভাযাত্রার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ইতোমধ্যে বিভিন্ন রঙের মুখোশ, সরা ও নানারকম ফেস্টুনও তৈরি করেছে। এছাড়া চারুকলার প্রাচীরগুলো রাঙানো হয়েছে আল্পনায়।