ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়
বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো
– লকডাউনে গ্রাম-শহরের শ্রমজীবীদের এক মাসের খাদ্য ও নগদ ৫ হাজার টাকা দুর্নীতি ও দলীয়করণমুক্তভাবে প্রদান।
সব জেলা-উপজেলায় করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ করোনা টেস্ট বিনামূল্যে করতে হবে।
একই সঙ্গে সব জেলা সদর হাসপাতালে নিরবিচ্ছিন্ন কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সাপ্লাই ব্যবস্থা চালু ও কমপক্ষে ২০টি আইসিইউ বেড স্থাপন,
বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করে করোনা চিকিৎসা করা,
সবাইকে বিনা মূল্যে করোনা চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন
দেওয়া, একাধিক
দেশ থেকে টিকা আনার উদ্যোগ নিতে হবে
এবং বেসরকারি টিকা বাণিজ্য করতে দেয়া যাবে না।
এছাড়া মহামারীকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ,
দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ,
হাসপাতালগুলোতে
পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগসহ
স্বাস্থ্যসেবা
কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও ঝুঁকিভাতা
দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
সমাবেশে বাম নেতারা বলেন, “সরকারের দম্ভ, আত্মম্ভরিতা ও অবহেলার কারণে আজ দেশে করোনা মহামারীতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করছে। ৫-৬ হাসপাতাল ঘুরেও ভর্তি হতে না পেরে রাস্তায় মানুষের মৃত্যু ঘটছে। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবায় দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মিঠু সিন্ডিকেট, সাহেদ, সাবরিনাদের বিচার হয়নি। স্বাস্থ্যখাতে জনবল নিয়োগে দুর্নীতি ব্যাপক বেড়েছে।”
তারা আরও বলেন, “সরকার একদিকে লকডাউন ঘোষণা করছে, অন্যদিকে গার্মেন্টসসহ কলকারখানা চালু রেখে, দোকান-শপিংমল খোলা রেখে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছে। হতদরিদ্রদের খাদ্য, চিকিৎসা ও নগদ অর্থ না দিলে লকডাউন
যে কার্যকর হবে না, তা বারবার বলার
পরও সরকার কর্ণপাত না করে লক্কর ঝক্কর লকডাউনে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে গাড়ি
ভাড়া দ্বিগুণ করে জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে চলেছে।”
বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য
দেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ কাফি রতন, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা পরিষদের সদস্য মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট
ব্যুরো সদস্য আকবর খান, কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।