ক্যাটাগরি

লঙ্কা চ্যালেঞ্জ জয়ের আশায় দেশ ছাড়লেন ক্রিকেটাররা

বাংলাদেশ বিমানের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে
সোমবার দুপুর পৌনে একটার দিকে কলম্বোর পথে রওনা হয় মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দল। ক্রিকেটারদের
২১ সদস্যের দলের সঙ্গে এই বহরে সাপোর্ট স্টাফ, কর্মকর্তাসহ আছেন মোট ৪১ জন।

শ্রীলঙ্কায় এই সফরে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের
দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।  টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে
৫ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট শূন্য। ২০১৯ সাল থেকে সব মিলিয়ে ৯ টেস্ট খেলে জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে দেশের মাটিতে একটি ম্যাচ ছাড়া সবকটি হেরেছে দল। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে খর্বশক্তির
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে হারতে হয়েছে ২-০তে।

শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার  আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেন,
ব্যর্থতার এই বৃত্ত ভাঙতে চান তারা।

“আপনারা জানেন,
শ্রীলঙ্কা দেশের মাটিতে সবসময়ই খুবই ভালো দল। আমাদের জন্য কাজটা সহজ হবে না, অনেক
চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা এখন যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি, এখান থেকে বের হতে ওই
চ্যালেঞ্জটাকে নিতে হবে। এই চ্যালেঞ্জটা পার করে টেস্ট দলের একটা ভালো ফল করতে হবে।”

এবার দলের সঙ্গী আছেন বিশেষ একজন। লজিস্টিকস
ম্যানেজার হিসেবে যাচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীস। গত ফেব্রুয়ারিতে ক্রিকেট
ক্যারিয়ারে ইতি টানার পর বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগে ‘ডেপুটি ম্যানেজার’ হিসেবে
যোগ দেন সাবেক এই ব্যাটসম্যান।

‘টিম লিডার’ হিসেবে এই সফরে থাকছেন বিসিবি
পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ। একাদশ নির্বাচন ও অন্যান্য কিছু নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের
সঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের যোগাযোগ মসৃণ করার জন্য গত নিউ জিল্যান্ড সফর থেকে
একজন করে বিসিবি পরিচালককে দলের সঙ্গে পাঠানোর নিয়ম করেছে বিসিবি। নিউ জিল্যান্ডে
‘টিম লিডার’ হিসেবে গিয়েছিলেন মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস।

শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর বাংলাদেশ দলের ঠিকানা
হবে বিমানবন্দরের কাছেই নেগোম্বোতে। সেখানে টিম হোটেলে তিনদিন ঘরবন্দি কোয়ারেন্টিনে
থাকতে হবে দলকে। এরপর কোয়ারেন্টিনের মধ্যেই অনুশীলনের সুযোগ মিলবে দুই দিন।

আগামী শনি ও রোববার নেগোম্বোর কাছেই কাতুনায়েকের
সিএমসিজি মাঠে নিজেদের মধ্যে দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দল। এরপর দল যাবে
ক্যান্ডিতে। পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২১ এপ্রিল, পরেরটি
২৯ এপ্রিল।

আইসিসি
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ এই সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল গত জুলাইয়ে। সূচিতে ছিল তিনটি
টেস্ট ম্যাচ। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপে স্থগিত হয় সেই সফর। পরে সেপ্টেম্বরে আবার
দুই দেশের বোর্ডের আলোচনা হয় সফর নিয়ে। তখন কোয়ারেন্টিনের সময় নিয়ে টানাপোড়েনে শেষ
মুহূর্তে আবার স্থগিত হয় সিরিজ। সেই সিরিজই এবার হচ্ছে, ম্যাচ কমে গেছে একটি।

মহামারীকালে
এটি হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সফর। নিউ জিল্যান্ডে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলে গত ৪
এপ্রিল দেশে ফেরে দল।

শ্রীলঙ্কায়
বাংলাদেশ সবশেষ টেস্ট খেলেছে ২০১৭ সালে। সেবার প্রথম টেস্টে গলে হেরে গেলেও
দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের শততম টেস্টে স্মরণীয় জয় পায় দল।