ক্যাটাগরি

স্বাস্থ্য প্রযুক্তিতে এআই অগ্রদূত নুয়ান্স মাইক্রোসফট মালিকানায়

মাইক্রোসফট ক্লাউডের সঙ্গে  প্রায় দুই বছর অংশীদারীত্বের পর এই ক্রয়ের ঘটনা ঘটল। নিজের মালিকানায় নুয়ান্সকে নিয়ে আসার বিষয়টি মাইক্রোসফটকে স্বাস্থ্যসেবায় এআই খাতে বড় ধরনের অগ্রগতি এনে দেবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিএনএন।

নুয়ান্সের প্রতিটি শেয়ারের জন্য ৫৬ ডলার খরচ করছে মাইক্রোসফট যা শুক্রবারের বাজার দরের ওপর শতকরা ২৩ ভাগ প্রিমিয়াম যোগ করার সমান। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির মূল্য দাঁড়ায় এক হাজার ছয়শ’ কোটি ডলার। সেইসঙ্গে আগের ঋণের অর্থ যোগ করে মাইক্রোসফট নুয়ান্সের পেছনে মোট খরচ করছে এক হাজার নয়শ’ ৭০ কোটি ডলার।

এ চুক্তির সুফল ভোগ করবে মাইক্রোসফটের ক্লাউড, এআই এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবসা। নুয়ান্সের প্রযুক্তি নিজেদের সেবার উন্নয়ন ব্যবহার করবে বলে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

নিজ ঘোষণায় মাইক্রোসফট সুনির্দিষ্ট করে স্বাস্থ্যসেবার জন্য ক্লাউড ব্যবহারের কথা বলেছে। মাইক্রোসফট প্রধান সত্যিয়া নাদেলা এক টুইটে লিখেছেন, “এআই হচ্ছে প্রযুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার, এবং স্বাস্থ্যসেবা এর সবচেয়ে জরুরি প্রয়োগ।”

“স্বাস্থ্যসেবায় এআই স্তর দিয়ে থাকে নুয়ান্স, বাস্তব বিশ্বে ব্যবসায়িক এআইয়ের প্রয়োগের দিক থেকে একে অগ্রদূত বলা যায়।”

নুয়ান্সের ড্রাগন অ্যাম্বিয়েন্ট এক্সপেরিয়েন্স বা ডিএএক্স-এর ওপরই সম্ভবত নজর ছিল মাইক্রোসফটের। ডিএএক্স মূলত এআই সফটওয়্যার প্যাকেজ যা রোগী ভর্তি, ডকুমেন্টেশন এবং টেলিহেলথ বিষয়ে চিকিৎসা কর্মীদের সহায়তা করে। এমনিতেই এটি বর্ধনশীল খাত ছিল, কোভিড-১৯ মহামারীতে এটি আরও ফুলেফেঁপে উঠেছে।  – বলেন ওয়েডবুশ সিকিউরিটির প্রযুক্তি বিশ্লেষক ড্যান আইভস।

“আগামী বছরগুলোয় যখন মাইক্রোসফট স্বাস্থ্য খাতে কোমরবেঁধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন এই ক্রয় একেবারে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। এটা বোঝার জন্য কোনো বড় পণ্ডিত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।”

এআই তো বটেই, নুয়ান্সের ‘ভয়েস কন্ট্রোল’ তৈরি করারও নজির আছে। এর আগে আইফোনের এআই অ্যাসিস্টেন্ট সিরির জন্য ‘স্পিচ-রিকগনিশন ইঞ্জিন তৈরি করে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

নুয়ান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক বেঞ্জামিনই প্রতিষ্ঠানটি চালাবেন বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। মালিক প্রতিষ্ঠানের স্কট গাথ্রির অধীনে কাজ করবেন তিনি। স্কট মাইক্রোসফটের ক্লাউড এবং এআই বিভাগের প্রধান।