ক্যাটাগরি

এবারও ছায়ানটের বর্ষবরণ আয়োজন ডিজিটাল মাধ্যমে

নববর্ষের সকাল ৭টায় ঘণ্টাখানেকের
সেই আয়োজন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার করার কথা জানিয়েছে
ছায়ানট।

১৯৬৭ সাল থেকে পহেলা
বৈশাখের নতুন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রমনার বটমূলে প্রভাতী আয়োজনের মাধ্যমে বর্ষবরণ করে
আসছে ছায়ানট।

বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতির
অংশ হয়ে উঠা এ আয়োজন এ নিয়ে টানা দুই বছর বাতিল করা হলো।

এর আগে ১৯৭১ সালে
মুক্তিযুদ্ধের বছর ছাড়া প্রতিবছরই এই পরিবেশনা হয়েছে।

বুধবার ভোরেও একইভাবে
১৪২৮ বঙ্গাব্দকে বরণ করার পরিকল্পনা ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠনটির। তবে দেশে করোনাভাইরাস
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় অনুষ্ঠান বাতিলের কথা জানিয়েছে ছায়ানট।

সোমবার এক বিবৃতিতে
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, করোনা
মহামারির প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য গত বছরের মতো এবারও ছায়ানট ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার
করে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতিতে সবার স্বাস্থ্যঝুঁকির
শঙ্কা বটমূলের ঐতিহ্যগত আয়োজন থেকে আমাদের নিরস্ত করেছে।”

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার বাংলা নববর্ষ উদযাপনে জনসমাগম হয় এমন
অনুষ্ঠান না করে সম্ভব
হলে অনলাইন বা ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

লাইসা আহমদ লিসা
জানান, প্রাথমিকভাবে দর্শকশূন্য অবস্থায় অথবা ‘পরিস্থিতি
আরও বেশি প্রতিকূল হলে’ অনুষ্ঠান আগেই রেকর্ড করে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেজন্য নিয়মিত
মহড়াও চলছিল।

“কিন্তু
করোনা পরিস্থিতির ক্রমান্বয় অবনতি এবং সরকারের সতর্কতামূলক বাস্তবিক সিদ্ধান্ত আমাদের
মনে শিল্পীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা গভীরতর করে তোলে। আমাদের বেশ ক’জন শিল্পী ও কর্মীও
করোনায় আক্রান্ত। ফলে সবার নিরাপত্তা বিবেচনায় অনন্যোপায় হয়ে আমরা ডিজিটালি এবং পুরোনো
ও নতুন পরিবেশনের মিশ্রণে অনুষ্ঠান ঢেলে সাজাচ্ছি।”

ছায়ানট জানিয়েছে, বাংলা বর্ষবরণের
প্রতীকী, সংক্ষেপ ও ডিজিটাল আয়োজনটি সাজানো হয়েছে মানুষের মঙ্গল কামনা এবং স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে উজ্জীবনী গান, বাণী ও কথন দিয়ে।