ক্যাটাগরি

খাতা খোলার হাল ফেরেনি

গত বছর মহামারীর
প্রাদুর্ভাবের পর হালখাতা খোলার অনুষ্ঠান করতে পারেননি এই ব্যবসায়ীরা। এবারও
ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে বৈশাখের অনুষ্ঠানসহ সব বন্ধ হওয়ায়
হালখাতাও হচ্ছে না।

শাঁখারী বাজার কারিগরি
শিল্পী সমিতির কোষাধ্যক্ষ অরুণ সুর মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত
বছরের মতো এবারও হালখাতা হচ্ছে না।”

বুধবার পহেলা বৈশাখ,
শুরু হবে ১৪২৮ সাল। তবে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের অনেকে পুরনো পঞ্জিকা অনুসরণ করে ‍বৃহস্পতিবার
পহেলা বৈশাখ ধরেন।

শাঁখারী বাজার ব্যবসায়ী
সমিতির একজন নেতা বলেন, “আমাদের পঞ্জিকা অনুযায়ী ১৫ তারিখ হালখাতা হওয়ার কথা।
কিন্তু কড়া লকডাউনে এবার হালখাতা করা সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরও করতে পারিনি।”

মুঘল সম্রাট আকবর
বৈশাখকে প্রথম মাস ধরে বাংলা বছর গণনা চালু করার পর পহেলা বৈশাখে হালখাতার চল শুরু
হয়।

এদিন বছরের সব
দেনা-পাওনা মিটিয়ে নতুন বছরের জন্য নতুন খাতা খোলেন ব্যবসায়ীরা। আনন্দ-আয়োজন আর
আপ্যায়নে তা খোলা হয়ে থাকে।

অরুণ সুর বলেন, “ব্যবসায়ীরা
এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে। পুরাতন হিসাব চুকিয়ে নতুন হিসাব শুরুর দিন।”

তবে হালখাতা অনুষ্ঠানের
সেই আয়োজন বেশ কিছু দিন হল আগের মতো নেই।

শাঁখারীবাজারের প্রবীণ
ব্যবসায়ী বিপ্লব সরকার বলেন, “এখন চাকরিজীবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সবাই ইংরেজী
মাসের ওপর ভিত্তি করে আয়-ব্যয় করেন। তাই ধীরে ধীরে পহেলা বৈশাখে হালখাতা উৎসব
হারিয়ে যাচ্ছে।”

এর মধ্যেই এসেছে
মহামারীর খাঁড়া।

শাঁখারীবাজারের সুদর্শন
শঙ্খ ঘরের মালিক প্রদীপ নাথ বলেন, “গত বছর ঘরোয়াভাবে হালখাতার আয়োজন করেছিলাম।
কিন্তু মনে হচ্ছে এবার আর সম্ভব হবে না। তারপরও চেষ্টা করব।”

ভিন্নভাবে হালখাতা
আয়োজনের কথাও বলেন কেউ কেউ।

ঝর্ণা অলঙ্কারের মালিক মিন্টু
ঘোষ বলেন, ‘অক্ষ দ্বিতীয়া’র সময় অনেকে হালখাতা করতে পারে, যদি সে সময় ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান খোলা থাকে। 

‘অক্ষ দ্বিতীয়া’ হল
বৈশাখ মাসের ১৫ তারিখ।

“গত বছর পারিনি। এবার
অক্ষ দ্বিতীয়াতে যদি করতে পারি, যদিও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না,“
বলেন মিন্টু।