আক্রান্তদের
একজন ফেনী সদরে ও একজন ছাগলনাইয়ায় মারা গেছেন।
উপসর্গ
নিয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ছয় জন ও ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে দুই জন মারা যান।
ফেনী জেনারেল
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, জ্বর-শ্বাসকষ্টসহ
করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় জন মারা গেছেন এই
হাসপাতালে।
তিনি
জানান, ১০ এপ্রিল নাজিম উদ্দিন (৮২), ৯ এপ্রিল হাজী সায়েদ আহম্মদ (৬৫), ৩ এপ্রিল হোসনে
আরা বেগম (৬৫), ২ এপ্রিল আকবর হোসেন (৭০), ১ এপ্রিল হারুন মোহন দাস (৮৫) ও নুরুল হুদা
(৮৬) মারা যান।
ফেনী ডায়াবেটিক
হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুছ জানান, এই হাসপাতালে জ্বর-শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ এপ্রিল ফনি ভূষণ মজুমদার (৭৭) ও সিরাজুল হক (৭২) নামে দুইজন
মারা গেছেন।
এদিকে,
দেলোয়ারা বেগম (৫৮) নামে এক নারী চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা
গেছেন। দাফনের পর তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার রিপোর্ট আসে।
ফেনীর ভারপ্রাপ্ত
সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মাসুদ রানা জানান, শ্বাসকষ্টসহ অসুস্থ হলে দেলোয়ারা বেগমকে
গত শুক্রবার ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার নমুনা
ঢাকা সিএমএইচ-এ পাঠানো হয়।
“ছাগলনাইয়া
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ
ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাতে তার মৃত্যু হয়।
“রোববার
বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়। লাশ দাফনের পর সোমবার তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পায় জেলা স্বাস্থ্য
বিভাগ।”
এর কয়েক
দিন আগে আবদুল আজিজ নামে এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে ডা. মাসুদ রানা
জানান।
মাসুদ রানা
আরও জানান, ফেনীতে গত এক বছরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলার কর্মরত সিভিল সার্জন
ডা. সাজ্জাদ হোসেনসহ ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৪১ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী রয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৯ জন, সোনাগাজীতে ১১ জন, দাগনভূঞা উপজেলায় ৮ জন, ছাগলনাইয়ায়
৭ জন, পরশুরামে ৩ জন ও ফুলগাজীতে একজন রয়েছেন।