ক্যাটাগরি

মশক নিধনে জলাশয়ে ব্যাঙ অবমুক্তকরণ

মঙ্গলবার মাকরজানি খালে মশার লার্ভা ধ্বংসকারী দুই হাজার ব্যাঙ
অবমুক্ত করেছেন ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকরামূল হক টিটু।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র ইকরামূল হক টিটু বলেন, মশক নিধনে
নিয়মিত প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘লার্ভিসাইড’ ও ‘এডাল্টিসাইড’ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

কর্মসূচিকে আরও বেগবান করতে গত বছর জৈবিক পদ্ধতিতে মশক নিধনের বেশকিছু
কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর উন্মুক্ত জলাশয়ে মশা খেকো
মাছ অবমুক্ত করা হয়েছিল।

“মশক নিধনে জৈবিক প্রক্রিয়া ব্যবহারের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের
সুপারিশ রয়েছে। তাই এ বছরও আমরা জৈবিক প্রক্রিয়ায় মশক নিয়ন্ত্রণকে জোরদার করছি।”

তিনি বলেন, “শহর এলাকায় উন্মুক্ত জলাশয় কমে আসছে। এসব জলাশয়ে
প্রাকৃতিকভাবে মশক নিধনে সুযোগ সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে। তাই আমরা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে
মশার লার্ভাকে ধ্বংস করে এমন ব্যাঙ উন্মুক্ত করছি।”

তিনি আরও জানান, যেসব জলাধারে কিছুটা গভীরতা পাওয়া যাবে সেখানে
মশার লার্ভা খেকো মাছ ছাড়া হবে। এছাড়া যেসব জলাশয়ে হাঁস চাষের সুযোগ রয়েছে সেখানে
মশক নিধনে হাঁস চাষেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি ময়মনসিংহ নগরীতে মশার উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ঠ। এ নিয়ে
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচার হয়। মশায় অতিষ্ঠ নাগরিক নেতাদের মধ্যেও ক্ষোভ লক্ষ
করা যায়।

এ বিষয়ে জেলা জন উদ্যোগ-এর আহবায়ক নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন,
মশা নিধনে মেয়র ইকরামূল হক টিটুর আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না। তবে একই প্রযুক্তি
বারবার ব্যবহার করায় সম্ভবত মশা কমেনি।

এবার মশা নিধনের এই কার্যক্রম সফল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ
করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র আসিফ হোসেন ডন, শামীমা আক্তার,
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ মানস বিশ্বাস, খাদ্য ও স্যানিটেশন
কর্মকর্তা দীপক মজুমদার ও 
অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।