মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ এক প্রেস ব্রিফিং জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানী মোবাইল ফোনে নিয়মিত পর্নগ্রাফি ভিডিও দেখাসহ রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
“তার বিরুদ্ধে মামলায় পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮ (৫)(ক) ধারা যুক্ত করা হয়েছে।”
রফিকুলের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডিসি মোহাম্মদ আহসান, গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন এবং পরিদর্শক তদন্ত নন্দলাল।
গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, রফিকুলের মোবাইল সিজ করে এক্সপার্টের কাছে দেওয়া হয়। এতে দেখা গেছে, তিনি পর্নগ্রাফি ভিডিও দেখতেন এবং সংরক্ষণ করতেন।
পর্নগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে ওসি বলেন, তাই তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় পর্নগ্রাফি মামলার ওই ধারাও সংযুক্ত করা হয়েছে।
“ওই দুইটি বিষয়ে আলাদাভাবে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।”
রফিকুলের রিমাণ্ডের আবেদনের শুনানির দিন আগামী ১৫ এপ্রিল ধার্য্য করেছে আদালত বলেন তিনি।
গত ৮ এপ্রিল রফিকুলকে তার নেত্রকোণার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর গাছা থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যাব।
এরপর থেকে তিনি গাজীপুরে কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একই আইনে গাজীপুরের বাসন থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।