ক্যাটাগরি

হেফাজত নেতা ইলিয়াস ৭ দিনের রিমান্ডে

মঙ্গলবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের মডেল থানার একটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করলে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রাজীব হাসান মঙ্গলবার তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন আদালত পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, হেফাজত নেতার পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করা হলে শুনানি শেষে তা নাকচ করেন বিচারক।

নাশকতার পরিকল্পনা, ধর্মীয় উগ্রবাদিতা ছড়ানো, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে সোমবার রাতে কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচর ‘তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদ্রসা’ থেকে ইলিয়াস হামিদীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব-২ অপস্ অফিসার এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনিসহ ৮/৯ জন বসে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছিলেন এমন খবর পেয়ে র‌্যাব অভিযান চালায়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব তাদের কাছে হস্তান্তর করার পর তারা দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায়।

“মুফতি ইলিয়াসসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (সংশোধন -২০১৩) ১০/১১/১২ ১৩ ধারায় মামলা হয়েছে। পলাতক ৮ জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

এরা হলেন- শরীফ হোসাইন (৩৫), জাকির হোসেন (২৯), শফিকুল ইসলাম (২৮), ইউসুফ (৫২), ফজলুর রহমান (৪০), হেলেন (৫২), মামুন (৪০) ও  ইউনুস (৫৫)।

র‌্যাব- ২ ওয়ারেন্ট অফিসার জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে দায়ের করা মামলার বরাত দিয়ে রমজানুল হক বলেন, “তার সাথে পলাতক ৮ জন ছাড়াও জামাত শিবিরসহ সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেকে উপস্থিত ছিল বলে গ্রেপ্তারের পর মুফতি ইলিয়াস জানান।”

ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যে নাশকতা করা হয়েছ তার প্রত্যেকটিতে তিনি মদদ দিয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে একযোগে তাদের আরো নাশকতার পরিকল্পনা ছিল বলে গ্রেপ্তারের পর মুফতি ইলিয়াস র‌্যাবকে জানিয়েছে।