বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পাশাপাশি
বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বর্ষসেরা ব্যাটসম্যানের স্বীকৃতিও
উইলিয়ামসনের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম মৌসুমে বাজিমাত করে বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি
ক্রিকেটার ডেভন কনওয়ে।
মেয়েদের ক্রিকেটে বর্ষসেরা
ওয়ানডে ক্রিকেটার এমি স্যাটার্থওয়েট, বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার এমিলিয়া কার।
২০২০-২১ মৌসুমের বিজয়ীদের
নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট।
ছুটি, চোট আর বিশ্রাম মিলিয়ে
এবারের মৌসুমে সব ম্যাচ খেলতেই পারেননি উইলিয়ামসন। কিন্তু যেটুকু খেলেছেন, তাতেই অসাধারণ
পারফরম্যান্সে তিনি টপকে গেছেন সবাইকে।
এই সময়ে মাত্র চারটি টেস্ট
ইনিংস খেলার সুযোগ পান তিনি, অবিশ্বাস্যভাবে ১৫৯ গড়ে করেন ৬৩৯ রান! ক্যারিয়ার সেরা
২৫১ রানের ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টেস্টে করেন
১২৯ ও ২১, আরেক টেস্টে ২৩৮।
এই মৌসুমে দেশের মাটিতে
তিন সংস্করণ মিলিয়ে সাত সিরিজের সবকটি জেতে নিউ জিল্যান্ড।
কনওয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
পা রাখেন গত নভেম্বরের শেষ দিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। শুরু থেকেই
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ১৪ টি-টোয়েন্টিতে তার রান এখন ৫৯.১২ গড়ে ৪৭৩।
ওয়ানডেতে তার সেরা হওয়া
মনে হতে পারে আরও চমকপ্রদ। মাত্র তো তিনটি ওয়ানডেই খেলেছেন! তবে মহামারীকালের এই মৌসুমে
দলও খেলতে পেরেছে ওই তিন ম্যাচই। বাংলাদেশের বিপক্ষে গত মাসের সেই সিরিজে ২২৫ রান করে
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানই হন ম্যান অব দা সিরিজ।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিউ
জিল্যান্ডে এসে ঘরোয়া ক্রিকেটে আলো ছড়িয়ে সব শর্ত পূরণ করে কিউইদের হয়ে সুযোগ পাওয়া
কনওয়ে সম্প্রতি ডাক পেয়েছেন টেস্ট দলেও। জুনে ইংল্যান্ড সফরেই হতে পারে তার টেস্ট অভিষেক।
ঘরোয়া ক্রিকেটের বর্ষসেরা
ক্রিকেটার মনোনীত হয়েছেন অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি সুপার স্ম্যাশের
সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন ফিন অ্যালেন। ২১ বছর বয়সী বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান টুর্নামেন্টে
৫১২ রান করেন ৫৬ গড় ও ১৯৩ স্ট্রাইক-রেটে। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সেরা বোলার
কাইল জেমিসন।
মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির
সেরা ক্রিকেটারের পাশাপাশি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিরও সেরা এমিলিয়া কার।
ক্রিকেটে অসাধারণ অবদানের
জন্য এবারের ‘বার্ট সাটক্লিফ মেডেল’ জয়ী জেফ ক্রো। আশির দশকে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ৩৯
টেস্ট ও ৭৫ ওয়ানডে খেলা ব্যাটসম্যান এখন পরিচিত আইসিসি ম্যাচ রেফারি হিসেবে। এখনও পর্যন্ত
১০৩ টেস্ট, ৩০১ ওয়ানডে ও ১৩৭ টি-টোয়েন্টি পরিচালনা করেছেন তিনি।