ক্যাটাগরি

১২ বলে ওভারের পর অধিনায়কের কাছে মাগালার আকুতি

দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দেখা গেছে মাগালার এই দুই রূপ। পাকিস্তানের ইনিংসের
দ্বাদশ ওভারে এই ফাস্ট বোলারকে আক্রমণে আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। টানা তিনটি নো ও একটি ওয়াইডের
পর প্রথম বৈধ বলে তিনি হজম করেন বাউন্ডারি।

এরপর ওই ওভারে তিনি
ওয়াইড দেন আরও দুটি। বাউন্ডারিও হয় আরেকটি। সব মিলিয়ে ওভার থেকে আসে ১৮ রান। ওই ওভারের
আগে চাপে থাকা পাকিস্তান পেয়ে যায় স্বস্তির শ্বাস ফেলার অবকাশ।

অমন বাজে শুরুর পরও
মাগালাকে ওই প্রান্ত থেকে পরের ওভার বোলিং দেন অধিনায়ক ক্লাসেন। এবার প্রথম বলে হয়
বাউন্ডারি। তবে এরপরই নিজেকে সামলে নেন তিনি। পরের পাঁচ বলে রান দেন মাত্র দুই, ওভারে
দেননি কোনো অতিরিক্তি।

৩০ বছর বয়সী ফাস্ট বোলারকে
আবার শেষ দিকে বোলিং করার গুরু দায়িত্ব দেন অধিনায়ক। সেখানে মাগালা দেখান নিজের সামর্থ্যের
ঝলক। অষ্টাদশ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে রান দেন মাত্র চার, সঙ্গে বোল্ড করেন ফিফটি করা বাবর
আজমকে। শেষ ওভারে দেন মাত্র পাঁচ রান।

প্রথম ওভারে ১৮ রান
দেওয়ার পরও সব মিলিয়ে তার বোলিং বিশ্লেষণ খারাপ নয়, ৪-০-৩২-১। ম্যাচজুড়েই তার বলের
গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারের আশেপাশে।

পাকিস্তানকে ১৪০ রানে
আটকে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটের জয়ে সমতা ফেরায় সিরিজে। এলোমেলো বোলিংয়ের পরও মাগালাকে
আবার বোলিংয়ে আনার কারণ ম্যাচের পর জানান দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ক্লাসেন।

“ প্রথম ওভারের পরই
সে আমার কাছে এসে আরেকটি ওভার চায়। সে বলে, ‘আমিই আজকে তোমার কাজে লাগব।’ সে যা বলেছে,
ঠিক সেটিই প্রমাণ করেছে।”

এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ
দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মাগালার। সেদিনও প্রথম বলটি করেন ‘নো’, সেই বলে
হয় বাউন্ডারিও। পরে আরও দুটি চার ও এক ছক্কায় তার প্রথম ওভার থেকে আসে ১৯ রান। এরপর
কিছুটা সামাল দিয়ে পরের দুই ওভারে দেন ১৬ রান।