সোমবার সুপ্রিম কোর্টের
হাই কোর্ট বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের এই আদেশে
কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জামিন শুনানি এবং মামলার অন্যান্য
কার্যক্রমে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
“বর্ণিতাবস্থায়, জামিন
শুনানিকালে এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে হাজতি আসামিদের কারাগার হতে প্রিজনভ্যান
বা অন্য কোনোভাবে আদালত কক্ষে হাজির না করে কারাগারে রেখেই জামিন শুনানি করতে হবে।
অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মামলার কার্যক্রম মুলতবি করতে হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
“পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানিকালে
এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে হাজতি আসামিদের কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে
আদালত কক্ষে হাজির না করার নির্দেশ প্রদান করা হল।”
আর রিমান্ড শুনানির
বিষয়ে বলা হয়েছে, “হাজতি আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারাগারে ভিডিও
কনফারেন্সের লিংক প্রেরণ করে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের
সহযোগিতায় ভার্চুয়ালি দেখে রিমান্ড শুনানি করতে পারবেন।”
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর
হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত বছর
মার্চে সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটির সাথে সমন্বয় করে দেশের সব আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা
করা হয়। তাতে দেশের বিচার ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
পরে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে মামলার বিচার,
বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্য বা যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা
রায় দিতে পক্ষদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে আদালতকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের
ক্ষমতা দিয়ে গত বছর ৯ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
এরপর ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট ভিডিও কনফারেন্সসহ
অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘প্র্যাকটিস’ নির্দেশনা
জারি করে। পরদিন দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু
হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি কমতে থাকলে
প্রথমে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শারীরীক উপস্থিতিতে নিম্ন আদালত চালু
করা হয়। এক পর্যায়ে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে হাই কোর্টেও চালু করা হয় কয়েকটি বেঞ্চ।
পাশাপাশি ভার্চুয়াল কোর্টও চালু থাকে।
তবে দেশের সর্বোচ্ আদালত অর্থাৎ আপিল বিভাগের
দুটি বেঞ্চ এবং চেম্বার আদালত এখন পর্যন্ত ভার্চুয়ালিই চলছে।
আরও পড়ুন:
‘লকডাউনে’ আদালত চলবে সীমিত পরিসরে