ক্যাটাগরি

জলবায়ু সমস্যার কেন্দ্রে ’বিশ্বের অতি ধনীরা’

এতে জাতিসংঘের তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বের দরিদ্র ৫০ শতাংশের মোট নিঃসরণের দ্বিগুণ কার্বন উৎপাদন করে ধনী এক শতাংশ।

‘অভিজাত দূষণকারী’ খ্যাত পাঁচ শতাংশ ধনীই ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন বৃদ্ধির ৩৭ শতাংশের জন্য দায়ী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গবেষকরা এখন এসইউবি গাড়ি হাঁকানো এবং ঘন ঘন বিমানে যাতায়াতকারীদের নিবৃত্ত এবং ধনীদের বাড়িতে ইনসুলেশন ব্যবহারে উৎসাহিত করছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ইনসুলেশনের মাধ্যমে কম শক্তি ব্যবহার করেই বাড়িঘর উষ্ণ বা শীতল করা যায়।

প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যে ফিরতি ফ্লাইটে যাত্রী শুল্ক ছেঁটে ফেলার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা পাল্টে দিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি গ্রিন হোমস গ্র্যান্ট স্কিম নামে যে প্রকল্পটি সম্প্রতি বাদ দেওয়া হয়েছে, তা পুনর্বহালে মন্ত্রীদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্যামব্রিজ সাসটেইনেবিলিটি কমিশন অন স্কেলিং বিহেভিয়ার চেইঞ্জের কাছ থেকে এই প্রতিবেদনটি এসেছে। এটি ৩১ ব্যক্তির একটি প্যানেল, যারা মানুষের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করছেন।

এই প্যানেলের সদস্যদের দায়িত্ব ছিল কার্বন নিঃসরণ মোকাবেলার কর্মকাণ্ড জোরদারে সবচেয়ে কার্যকর উপায় খুঁজে বের করা।

সমালোচকরা অবশ্য বলছেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমেই কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব, এমন কোনো ব্যবস্থা নিয়ে নয়, যা অজনপ্রিয় বলে বিবেচিত হতে পারে।

প্রতিবেদনের প্রধান লেখক, সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার নিওয়েল অবশ্য এই মত মানতে নারাজ।

“আমরা প্রযুক্তির অগ্রগতির পক্ষে, আমরা চাই আরও কার্যকর পণ্য আসুক। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে আরও সাঁড়াশি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যেহেতু নিঃসরণ বেড়েই চলেছে।

“আমাদের অতিরিক্ত ভোগ কমাতে হবে, আর যাদের দিয়ে এই কমানো শুরু করা সবচেয়ে ভালো হবে, তারা হচ্ছে সেই অভিজাত দূষণকারীরা, যারা তাদের হিস্যার চেয়েও অনেক বেশি কার্বন নিঃসরণ করছে।

“এরা সেই মানুষজন যারা বেশি বিমানে চড়ে, বড় বড় গাড়ি চালায়, থাকে সবচেয়ে বড় বড় বাড়িতে, যেগুলো উষ্ণ করার খরচও তারা সহজেই মেটাতে পারে; যে কারণে বাড়িটি ইনসুলেটেড আছে কি নেই, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না তাদের। অথচ তারা সেসব লোক যারা চাইলে সহজেই ভালো ইনসুলেশন বা সোলার প্যানেলের খরচ বহন করতে পারে,” বলেছেন তিনি।