মঙ্গলবার নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক মতবিনিময় সভায় যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
সরকার হেফাজতের মামলায় জড়িয়ে বিএনপিকর্মীদের ‘রাজনৈতিকভাবে হয়রানি’ করছে বলে যে অভিযোগ বিএনপি নেতারা করছেন, তা
প্রত্যাখ্যান করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “তাদের এ অভিযোগ গতানুগতিক, এবং সত্য নয়। শেখ হাসিনা সরকার রাজনৈতিক নিপীড়নে বিশ্বাসী নয়। শেখ হাসিনা সরকার সকল দল ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
“হেফাজতে ইসলাম দেশব্যাপী যে তাণ্ডব চালিয়েছে এবং জনগণ তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদে আগুন দিয়েছে, তা নিয়ে বিএনপি একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
“অপরাধী কোনো দলের হতে পারে না, ধর্ম কখনও সহিংসতা উসকে দেয় না। যারা ধর্মের নামে স্বার্থ হাসিলের নোঙরা রাজনীতি করছে এবং সম্পদ নষ্ট করছে, তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা হচ্ছে।”
বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘হয়রানির’ অভিযোগকে ‘সত্যের অপলাপ’ হিসেবে বর্ণনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মামলায় আসামি এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া নেতাকর্মীদের কোথায় হয়রানি করা হচ্ছে তার তালিকা দিন। ঢালাও অভিযোগ না করে স্পষ্ট প্রামাণ দিন।”
সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ‘ব্যর্থ হয়ে’ কর্মীদের ‘দমন করছে’- এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তাদের এসব কথা শুনলে জনগণ হাসে। তারা অপরাজনীতি ও মিথ্যাচারকে রাজনীতি মনে করছে। জনগণের কল্যাণ থেকে দূরে থেকে বিএনপি এখন সন্ত্রাস ও গুজবনির্ভর রাজনীতির চর্চা করছে।”
মহামারীর চলমান
পরিস্থিতিতে সারা দেশে কঠোর লকডাউনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, তাই দেশের মানুষের সুরক্ষা তথা সংক্রমণ রোধে শেখ হাসিনা সরকার যে সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের জীবনের সুরক্ষার স্বার্থেই।”
বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “
“রাজনীতি জনগণের জন্য, করোনা দল চিনে না, সবাই এই ভাইরাসের শিকার হতে পারে সুতরাং করোনা নিয়ে রাজনীতি না করে সরকারকে প্রয়োজনে গঠনমূলক পরামর্শ দিন।
“এই মহামারী থেকে উত্তরণে সবাই জনগণের পাশে দাঁড়ান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং স্রষ্টার অপার কৃপায় নিশ্চয় আমরা সবাই এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠব ইনশাআল্লাহ।”
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে প্রকৌশলীদের সাথে এই মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অবকাঠামো নির্মাণ কাজ লকডাউনের নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
“সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শতভাগ মাস্ক পরিধান করে এসকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সামনে বর্ষাকাল, তাই বর্ষা শুরু হবার আগেই নির্মাণাধীন কাজ এগিয়ে নিতে হবে। বর্ষার আগে কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময়।”
প্রকৌশলীদের উদ্দেশে
কাদের বলেন, “১৪ তারিখ থেকে লকডাউনে সড়কে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাস্তা ফাঁকা থাকবে, তাই এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করতে হবে।”