পঞ্জিকার পাতা উল্টে বৈশাখ আসছে বুধবার। আবহাওয়াবিদরা বলছেন,
বৈশাখের সপ্তাহখানেক বেশ গরমে কাটবে। পাঁচ-ছয় দিন পরে কোথাও কোথাও কালবৈশখীর দাপট থাকবে।
এসময় বজ্রবৃষ্টিও হতে পারে।
এখন ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ,
ঈশ্বরদী, রাঙামাটি, দিনাজপুর, নীলফামারী ও পঞ্চগড়, পটুয়াখালী অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের
উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে
রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি
সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “এখন মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। আগামী চার-পাঁচদিন এমন পরিস্থিতি অব্যাহত
থাকতে পারে। বৃষ্টি না থাকায় সর্বত্র অস্বস্তির গরম অনুভূত হচ্ছে।”
থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র
তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অফিস।
২০১৮ সালে গরমের মৌসুমে ১৫ জুন রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি
সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল।
গত দুই যুগে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি
সেলসিয়াস উঠেছিল যশোরে। তার আগে ১৯৯৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ঢাকায় ১৯৯৫ সালে তাপমাত্রা ওঠেছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছিল ১৯৬০ সালে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শাহীনুল বলেন, “এসময় তেমন কোনো বৃষ্টির আভাস নেই। সেক্ষেত্রে
গরমের অনুভূতি বাড়বে। ১৮-১৯ এপ্রিলের দিকে কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।”
আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ী
দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ এবং ঢাকা ও কুমিল্লা অঞ্চলের দুয়েক জায়গায়
বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এপ্রিল মাসের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দেশের
দক্ষিণাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে)
ও ১-২টি মৃদু তাপপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ
(৩৮-৪০ ডিগ্রি) যেতে পারে।