র্যাব-২ অপস্ অফিসার এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নাশকতার পরিকল্পনা, ধর্মীয় উগ্রবাদিতা ছড়ানো,
ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে সোমবার রাতে কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে তাকে
গ্রেপ্তার করা হয়।
এঘটনায় র্যাব- ২ ওয়ারেন্ট অফিসার জামাল উদ্দিন বাদি
হয়ে মুফতি ইলিয়াসসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক
(তদন্ত) কাজী রমজানুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হেফাজত নেতা মামুনুল
হক পরিচালিত ‘তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদ্রসা’য় কয়েকজন বসে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
চলছে এমন খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
“অভিযানের খবর পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও মুফতি ইলিয়াস
হামিদীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। তার সাথে পলাতক ৮ জন ছাড়াও জামাত শিবিরসহ সমমনা
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেকে উপস্থি ছিল বলে গ্রেপ্তারের পর মুফতি ইলিয়াস জানায়।”
বাকিরা হলেন- শরীফ হোসাইন (৩৫), জাকির হোসেন (২৯),
শফিকুল ইসলাম (২৮), ইউসুফ (৫২), ফজলুর রহমান (৪০), হেলেন (৫২), মামুন (৪০) ও ইউনুস (৫৫)।
ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যে
নাশকতা করা হয়েছ তার প্রত্যেকটিতে তিনি মদদ দিয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে একযোগে তাদের আরো নাশকতার
পরিকল্পনা ছিল বলে গ্রেপ্তারের পর মুফতি ইলিয়াস র্যাবকে জানিয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর কমিটির
সহসভাপতি ইলিয়াস হামিদীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এরই মধ্যে সাত দিনের হেফাজত পেয়েছে
পুলিশ।