ক্যাটাগরি

যুক্তরাজ্যে বর্ণবাদী আক্রমণ ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’

লিভারপুলের অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন অনলাইনে বর্ণবাদী আচরণের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সাইবারস্মাইল নামের ওই সংগঠনকে তার টুইটার অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ দিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

কিন্তু কতোটা ব্যাপ্তি  অনলাইনে এই বর্ণবাদী আক্রমণের? সাইবারস্মাইল আর্সেনালের সাবেক ফরোয়ার্ড ইয়ান রাইটের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। কৃষ্ণাঙ্গ এই ফুটবলার বর্ণনা দিয়েছেন বর্ণবিদ্বেষী আচরণের। অনলাইনে হত্যার হুমকিও পেয়েছেন ব্রিটিশ জাতীয় দলের এই সাবেক খেলোয়াড়।

প্রতিবাদে প্রিমিয়ার লিগের কিছু কর্মকর্তা এরইমধ্যে গোটা ক্রীড়াজগৎজুড়েই সামাজিক মাধ্যম বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন।

হেন্ডারসনের টুইটার অ্যাকাউন্টেই সাইবারস্মাইল টুইট করেছে, “বর্ণবাদী বিদ্বেষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি এখন সাপ্তাহিক, এমনকি নৈমিত্যিক ঘটনা।”

“আমাদের মনে রাখতে হবে যে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলির পেছনে সত্যিকারের মানুষ রয়েছেন যাদের অনুভূতি আছে।”

“আমরা এককজন রক্তমাংসের মানুষ, স্রেফ প্রোফাইল নই।”

শুধু এই দলগুলোই নয়, চ্যাম্পিয়নশিপের সোয়ানসি এবং বার্মিংহাম এবং স্কটিশ চ্যাম্পিয়ন রেঞ্জার্স এক সপ্তাহ ব্যাপী সামাজিক প্ল্যাটফর্ম বর্জনে অংশ নিচ্ছে। এদিকে সপ্তাহান্তেই টটেনহ্যামের সন হিউং-মিনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বর্ণবাদী হামলার পরে দলটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা এ আচরণ রোধে সামাজিক মাধ্যমগুলোর জন্য সবচেয়ে ফলপ্রসু পন্থা খুঁজে বের করবে।

গত ফেব্রুয়ারিতেই ফুটবল দলের প্রধানরা ফেইসবুক এবং টুইটারকে লিখিত আকারে জানিয়েছেন তারা কোন কোন পরিবর্তনগুলি চান।

ইনস্টাগ্রাম অবশ্য বিবৃতিতে বলেছে যে, ওই আচরণ একেবারেই “ঘৃণ্য” এবং সনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকটি বর্ষবাদী মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমটি সরিয়ে নিয়েছে।

কিন্তু এই আচরণ কি কেবল খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে? কেবল সামাজিক মাধ্যমগুলোকে দায়বদ্ধ করেই কী সমাধান পাওয়া সম্ভব?