সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল সোয়া ৩টার দিকে নক্সভিলের পূর্ব দিকের অস্টিন-ইস্ট ম্যাগনেট হাই স্কুলে এ গুলির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, ওই শিক্ষার্থীই প্রথম ক্যাম্পাসের একটি স্নানকক্ষ থেকে গুলি ছুড়ে এক কর্মকর্তাকে আহত করে। পরে পুলিশের পাল্টা গুলিতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
আহত পুলিশ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে নক্সভিল পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পায়ের উপরের অংশে গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্যের অস্ত্রোপচার লেগেছে। তিনি শিগগিরই ‘আশঙ্কামুক্ত অবস্থায় পৌঁছাবেন’ বলেও আশা করা হচ্ছে।
“তার জ্ঞান আছে, মনোবলও ভালো। তিনি শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবেন। শিক্ষার্থী ও স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রক্ষায় তিনি জীবনের যে ঝুঁকি নিয়েছেন, সেজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি,” সিবিএস নিউজকে বলেছেন নক্সভিলের মেয়র ইনডি কিনকেনন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা অস্টিন-ইস্টে গোলাগুলির থবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। গোলাগুলি শেষে স্নানকক্ষে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর মৃতদেহ মেলে।
“পুলিশ কর্মকর্তারা যখন সেখানে যায়, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী তাদের দিকে বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে, এতে এক কর্মকর্তা আহতও হয়।
“ঘটনাস্থলেই সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে মৃত ঘোষণা করা হয়, পরে সে যে অস্টিন-ইস্টের শিক্ষার্থী তা জানা যায়,” সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন টেনেসির তদন্ত ব্যুরোর পরিচালক ডেভিড রস।
নক্সভিলের পুলিশ প্রধান ইভ থমাস এ ঘটনাকে ‘ভীতিকর’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
এ ঘটনার আগের দিনই যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে পুলিশের গুলিতে ডন্টি রাইট নামে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটিতে গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ‘ম্যাস শুটিংয়ের’ ঘটনায়ও অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছে।