মঙ্গলবার রেলভবনে ‘লকডাউন এবং কোভিডকালীন পণ্যবাহী ও পার্সেল ট্রেন পরিচালনা’
বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার থেকে এক
সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ৫ এপ্রিল থেকেই দেশে বিভিন্ন বিধিনিষেধ চলছে। তখন
থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রেখে শুধু জরুরি পণ্য পরিবহন করছে রেলওয়ে।
রেলমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কৃষকরা যাতে মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে রেলের
সুবিধা নিতে পারে, সেজন্য গতবারও ম্যাংগো ট্রেন, লাগেজ ভ্যান ও কোরবানির সময় পশুবাহী
ট্রেন চলানো হয়েছিল। এবার পরিকল্পিতভাবে এসব পার্সেল ট্রেন চালানো হবে।”
তিনি জানান, ঢাকা-সিলেট (প্রতিদিন), সিলেট-ঢাকা (প্রতিদিন), চট্টগ্রাম-সরিষাবাড়ী
(প্রতিদিন) সরিষাবাড়ী-চট্টগ্রাম (প্রতিদিন), খুলনা-চিলহাটি (শনি, সোম, বুধ), চিলহাটি-খুলনা (রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতিবার),
পঞ্চগড়-ঢাকা (শনি, সোম বুধ), ঢাকা-পঞ্চগড় (রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতিবার) পার্সেল ট্রেন
চলাচল করবে।
বুধবার থেকে এই ট্রেনগুলো চলাচল শুরু হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, “প্রাথমিকভাবে
লকডাউনের জন্য এগুলো চালু করা হয়েছে, পরবর্তীতে প্রয়োজনের ভিত্তিতে এই ট্রেন চালু
রাখার পরিকল্পনা রয়েছে এবং এর পরিধি বৃদ্ধি করব।”
মন্ত্রী জানান, বিশেষ পার্শ্বেল ট্রেনে কৃষিজাত পণ্য যেমন, শাক-সবজি, দেশীয়
ফলমূলসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে মূল ভাড়ার উপর ২৫ শতাংশ রেয়াতি ও অন্যান্য
সকল চার্জ রহিত থাকবে।
ঢাকা-সিলেট রুটের ৩১৯ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য কেজিপ্রতি ১ টাকা ১১ পয়সা
ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৩৪৬ কিলোমিটারের জন্য কেজিপ্রতি ভাড়া
হবে ১ টাকা ১৭ পয়সা।
চট্টগ্রাম-সরিষাবাড়ী ৪৬৯ কিলোমিটারের জন্য প্রতি কেজি ১ টাকা ৩৫ পয়সা,
চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ৩৯০ কিলোমিটারের জন্য ১ টাকা ৩০ পয়সা, খুলনা-চিলাহাটি রুটে ৪৯০
কিলোমিটারের জন্য ১ টাকা ৩৬ পয়সা, পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে ৫৯৩ কিলোমিটারের জন্য ১ টাকা
৫৬ পয়সা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারত থেকে রেলে পণ্য পরিবহন বাড়ছে জানিয়ে রেল সচিব সেলিম রেজা বলেন, মার্চ
মাসে ১৪০টি ট্রেনে ভারত থেকে ৩ লাখ ১৯ হাজার টন মালামাল আনা হয়েছে। এসব পণ্যর মধ্যে
চাল ও গম বেশি।
রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন)
সরদার শাহাদাত আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।