ইরানপন্থি গণমাধ্যম ও ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেগুলো এ খবর দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম চ্যানেল-১২ অনামা ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের যেসব উদ্ধৃতি দিয়েছে সেখানে তারা হামলার জন্য আঞ্চলিক শত্রু ইরানকে দায় দিয়েছেন এবং ঘটনাটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল বলে জানিয়েছেন।
এ হামলায় কেউ হতাহত হননি এবং ঘটনার পরও গন্তব্যের উদ্দেশ্যে জাহাজটির যাত্রা অব্যাহত ছিল বলে চ্যানেলটি জানিয়েছে।
সমুদ্র নিরাপত্তায় নিয়োজিত দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরের কাছে ইসরায়েলি একটি জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটেছে কিন্তু কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তরের কর্মকর্তারা ও দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও ঘটনাটি নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
লেবাননের আল মায়াদ্বীন টেলিভিশন চ্যানেল বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জাহাজটিকে হাইপেরিয়ন বলে শনাক্ত করেছে।
রেফিনিটিভের জাহাজ চলাচল তথ্য থেকে দেখা গেছে, বাহামার পতাকাবাহী হাইপেরিয়ন রে কুয়েত থেকে ফুজাইরাহ বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।
লেবাননি বার্তা সংস্থা ইউনিউজও জানিয়েছে, গাড়িবাহী জাহাজটি মঙ্গলবারের ওই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা আগে কুয়েতের মিনা আল আহমদি বন্দরে ছিল।
যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্স (ইউকেএমটিও) এক পরামর্শমূলক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তারা ফুজাইরাহের কাছে একটি সম্ভাব্য ঘটনার বিষয়ে জেনেছে এবং ওই বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরায়েল নাশকতা চালিয়েছে, তেহরান এমন অভিযোগ করার একদিন পর এ ঘটনা ঘটার খবর এল।
গত মাসে ভূমধ্যসাগরে কন্টেইনারবাহী একটি ইরানি জাহাজ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর দুই সপ্তাহ আগে ওমান উপসাগরে ইসরায়েলি মালিকানাধীন এমভি হেলিওস রে নামের আরেকটি জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০১৫ সালের তেহরান পারমাণবিক চুক্তিতে ফের যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর থেকে এসব ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন:
নাতাঞ্জে নাশকতা: ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা আরও বাড়ানোর ঘোষণা ইরানের
নাতাঞ্জে ‘নাশকতা’: ইসরায়েলকে দায় দিয়ে প্রতিশোধের হুমকি ইরানের