ক্যাটাগরি

ইফতার সামগ্রীতে দিতে হলো বাড়তি দর

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিনদিনের ব্যবধানে
বেশি বেড়েছে চিনি, বেসন, খেসারি ডাল, চিড়া, মুড়িসহ
বেশ কিছু সবজির দাম।

বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। মুসলমানরা
এদিন থেকে রোজা রাখা শুরু করবেন। একই দিন শুরু হচ্ছে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের
প্রথম দিন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ প্রকোপ ঠেকাতে
নতুন করে আরেক সপ্তাহের এই লকডাউনে জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে
সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিন থেকেই অনেকে কিছুটা
বাড়তি কেনাকাটা করছিলেন। এর প্রভাব দেখা গেছে বাজারে।

আগে থেকেই বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেশি থাকায়
স্বল্প আয়ের ক্রেতারা ছিলেন বিপাকে। এরমধ্যে রমজানের আগের দিন এসব পণ্যের কোনো কোনটির
দাম অনেক বাড়ায় বাজার করতে গিয়ে আরও হতাশ তারা।

মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারের
তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি বেগুন ৮০ টাকা, খিরা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০-৭০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, প্রতিকেজি বেসন ১০০ টাকা, খেসারি ডাল ১১৫ টাকা, ছোলা ৭৫ টাকা, চিড়া ৬০ টাকা, মুড়ি ৮৫ টাকা, সাধারণ খেজুর ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি
হয়েছে।

অথচ তিনদিন আগেও প্রতিকেজি বেগুন ৩০ টাকা, খিরা ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতিকেজি বেসন ৫০ টাকা, খেসারি ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, ছোলা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, চিড়া ৫৫ টাকা, মুড়ি ৭০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

কারওয়ান বাজারে মঙ্গলবার কেনাকাটার সময় বেসরকারি চাকুরীজীবী শহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রমজান মাসের শুরুতেই  ইফতার সামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক
বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের মত নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এমনিতেই বিপদে আছি।
এর মধ্যে বাড়ল ইফতার সামগ্রীর দাম।“

এ বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন,
“সব কিছুই কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বেড়েছে।”

পলাশি কাঁচা বাজারেও
ইফতারের সময় ব্যাবহার হয় এমন সব পণ্যে সামগ্রীর দাম আগের চেয়ে বেশি
দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা আকলিমা আক্তার বলেন, “আলু, বেগুন, বেসন
নিয়মিত কিনতে হয়। আজকের দামটা সবকিছুতেই বেশি। এটা আমাদের মত নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য কষ্টের।”

বকশিবাজার এলাকার বাসিন্দা মাইনুল খান বলেন, “লকডাউন হওয়ার কারণে, রমজান সব মিলিয়ে বেচাকেনা বেশি, সরবরাহ
সংকটও নেই তারপরও দাম বেশি নিচ্ছে।”