প্রতিযোগিতার শেষ আটের ফিরতি লেগে ঘরের
মাঠে মঙ্গলবার ম্যাচটি ১-০ গোলে হারে পিএসজি; কিন্তু প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে ৩-২
গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ ড্রয়ের পরও অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে শেষ চারে ওঠে পচেত্তিনোর
দল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগের ১১ বারের অংশগ্রহণে
কেবল একবার সেমি-ফাইনালে খেলা প্যারিসের দলটি এ নিয়ে টানা দুবার উঠল শেষ চারে। গতবারের
ফাইনালে বায়ার্নের কাছে হেরেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। এবার তাদের হারিয়ে
সেমি-ফাইনালে ওঠা দারুণ তৃপ্তি দিচ্ছে পচেত্তিনোকে।
“এটা সত্যিই কঠিন এক ম্যাচ ছিল এবং আমি খুব
খুশি কারণ খেলোয়াড়রা (সেমি-ফাইনালে ওঠার) এটার দাবি রাখে। তাদের নিয়ে, ক্লাব ও প্রেসিডেন্টকে
নিয়ে আমরা খুশি।”
“তিন মাস এখানে কাজ করার পর আমরা মুহূর্তটি
উপভোগ করছি। সেমি-ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারা মানে আমাদের জন্য তা দারুণ
এক মুহূর্ত।”
ফিরতি লেগে বায়ার্ন মিউনিখের (লাল জার্সি) বিপক্ষে হেরেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।
গত জানুয়ারির শুরুতে প্যারিসের দলটির
কোচ হয়ে আসা এই আর্জেন্টাইন জানালেন ম্যাচ চলাকালীন সময়ে নিজের অনুভূতির কথা।
“আপনি যখন টাচলাইনের পাশে, মাঠের খুব কাছে থাকবেন,
তখন এটা উপভোগ করাটা সহজ নয়। তবে আমি বাইরে শান্ত থাকার চেষ্টা করি, কিন্তু ভেতরে ভেতরে
ঠিকই চাপ সামলাতে হয়-আর এটাই হলো ভালোলাগার আসল অনুভূতি।”
“ম্যাচটা ছিল অসাধারণ। ছেলেরা উঁচুমানের খেলা
খেলেছে এবং কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমি খুব খুশি কারণ আমাদের কাজই হলো এই সকল প্রতিভা
একত্র করে একটা দল হিসেবে কাজ করা।”
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পিএসজির প্রতিপক্ষ
ম্যানচেস্টার সিটি কিংবা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতে এগিয়ে আছে ইংলিশ
ক্লাব সিটি।