করোনাভাইরাসের
দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার সারা দেশে শুরু হয়েছে ৮ দিনের কঠোর লকডাউন।
বুধবার
জেলা শহরের কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, নিরাপদ দুরত্ব না মেনেই ক্রেতারা বাজারগুলোতে
ঘোরাফেরা করছেন। বেশ কিছু মানুষ মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হয়েছেন।
সবচেয়ে
বেশি ভিড় দেখা গেছে শহরের জিয়াবাজার, পৌরবাজার, খলিলগঞ্জ বাজার ও ত্রিমোহনী বাজারে।
এসব এলাকায় অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মত ক্রেতারা বাজারে ভিড় করছেন।
এছাড়া বিভিন্ন
মোড়ে জটলা করে লোকজন রাস্তায় অবস্থান করছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর গাড়ির শব্দ পেলেই তারা
গলিতে লুকিয়ে পড়ছে।
এদিকে,
দূরদূরান্ত থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসা ট্রাক লকডাউনে আটকে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে
ঘরমুখো অনেক শ্রমিক।
মঙ্গলবার
দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে ৩০ জন ইটভাটা শ্রমিক নিয়ে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক (ট-১৩৪১৪৪)
বুধবার দুপুর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম শহরে আটকে ছিল। হোটেল বন্ধ থাকায় খাবারও পায়নি
তারা।
ওই ট্রাকে
আসা শ্রমিক ছানোয়ার হোসেন, রায়হান মিয়া ও আফজাল হোসেন জানান, তারা ৬ মাস আগে কিশোরগঞ্জ
জেলা শহরের ডাওকিয়া মোড় সাদুল্লা বাজারের কাছে অপু মিয়ার ইটভাটায় কাজ করছিলেন। লকডাউনে
ভাটা বন্ধ হওয়ায় সর্দার ট্রাক ভাড়া করে তাদের বাড়ি পাঠান।
তারা কুড়িগ্রামের
নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানাধীন তরীরহাট এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন।
ট্রাক ড্রাইভার
ফজলু মিয়া বলেন, “১০ হাজার টাকা ভাড়ায় গতকাল দুপুরে ৩০ জন ইটভাটা শ্রমিক নিয়ে কুড়িগ্রামের
উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। প্রশাসনের অনুমতি না নেওয়ায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হলো।”