ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে বিরাট কোহলির ১ হাজার ২৫৮ দিনের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে বুধবার শীর্ষে ওঠেন বাবর। পাকিস্তানের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এই স্বাদ পেলেন তিনি। তার আগে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে জহির আব্বাস, ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে জাভেদ মিয়াঁদাদ ও ২০০৩ সালে মোহাম্মদ ইউসুফ উঠেছিলেন সবার ওপরে।
র্যাঙ্কিংয়ের খবর জানার পর পিসিবির বিবৃতিতে বাবর বলেন, এই গ্রেট ব্যাটসম্যানদের পাশে নিজের নাম দেখে তিনি রোমাঞ্চিত ।
“জহির আব্বাস, জাভেদ মিয়াঁদাদ ও মোহাম্মদ ইউসুফের মতো পাকিস্তান ক্রিকেটের মহীরুহদের পাশে বসতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান ও সম্মানিত মনে করছি। আমার ক্যারিয়ারে আরেকটি মাইলফলক এটি। লম্বা সময়ের জন্য এই অবস্থান ধরে রাখতে আমাকে এখন আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে, ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে, যেমনটা ১৯৮৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত স্যার ভিভ রিচার্ডস ও ১২৫৮ দিন বিরাট কোহলি ছিলেন।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ৯৪ রানের ইনিংসে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন বাবর। ১৩ রেটিং পয়েন্ট পেয়ে তিনি ছাড়িয়ে যান কোহলিকে। এখন তার রেটিং পয়েন্ট ৮৬৫, কোহলি পিছিয়ে ৮ পয়েন্টে।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন বাবর। এবার ওয়ানডের সেরা হওয়ার পর অপেক্ষা এখন চক্রপূরণের। ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের কাছে টেস্টের সেরা হওয়াই সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত।
“এর আগে আমি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলাম। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য ও চাওয়া হলো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে ওঠা, ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য, ভাবমূর্তি ও দক্ষতার আসল পুরস্কার ও প্রতীক সেটি। জানি, এটা অর্জন করতে হলে আমাকে শুধু ধারবাহিকভাবে পারফর্ম করলেই হবে না, বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ দলগুলির বিপক্ষে ভালো করা।”
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বাবরের অবস্থান এখন ছয় নম্বরে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্যারিয়ার সেরা পঞ্চম স্থানে উঠেছিলেন তিনি। বর্তমানে টি-টোয়েন্টিতে আছেন তিনে।