জয়পুরের এইচবি কানওয়াটিয়া হাসপাতাল থেকে খোয়া যাওয়া টিকাগুলো ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
হাসপাতালটি জানিয়েছে, রোববারও যখন তাদের ২০০ ডোজের স্টকগুলো চেক করা হয় তখন সব ঠিক ছিল।
পরদিন সোমবার ৪৮৯ ডোজের আর একটি চালান গ্রহণ করা হয়। এরপর স্টক পুনরায় চেক করা হলে দেখা যায় সেখান থেকে ৩২০টি ডোজ গায়েব হয়ে গেছে।
টিকাগুলো যেখানে রাখা ছিল সেই কোল্ড স্টোরজের বাইরে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন ছিল।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে হাসপাতালটি। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রক্ষীরা উপস্থিত থাকার পরও টিকাগুলো কীভাবে খোয়া গেল তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজগুলো পরীক্ষা করে দেখছে তারা।
মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল ভারতে আগের ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৭২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে বুধবার সকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বুধবার নিয়ে টানা চতুর্থ দিন দেশটিতে একদিনে দেড় লাখের বেশি রোগী মিলল; টানা আট দিনের মতো এক লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হল।
সংক্রমণের এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যেই জয়পুরে টিকা গায়েবের এ ঘটনাটি ঘটল।
মহামারী পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করার মুখে ভারত সরকার পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ও জাপানে অনুমোদিত সব কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে দেশে জরুরি ব্যবহারে যত দ্রুত সম্ভব অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে দেশটিতে ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন ও মডার্নার টিকা আমদানির পথ খুলে যাবে।
রাশিয়ার বানানো স্পুৎনিক ভি টিকার জরুরি ব্যবহারেও অনুমতি দিয়েছে ভারত।
নরেন্দ্র মোদী ঘোষিত ‘টিকা উৎসবে’ মঙ্গলবারও দেশটিতে ২৬ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মানুষকে কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়া হয়েছে। ভারতে এখন পর্যন্ত কেবল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের বানানো কোভ্যাক্সিনই দেওয়া হচ্ছে।