মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ছিন্নমূল মানুষকে খাবার দেওয়ার মাধ্যমে এসব কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
সেখানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যও তাদের কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন।

টিএসসিতে নিজেরা খাবার রান্না করে ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন সৈকত ও তার বন্ধুরা।
গতবছর লকডাউন ঘোষণার পর টানা ১২১ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ভাসমান মানুষদের রান্না করা খাবার দেন সৈকত ও তার বন্ধুরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সৈকতরা।
এবার খাবার বিতরণের পাশাপাশি নতুন আরও দুটি উদ্যোগ নিয়েছেন সৈকতরা।
একটি হচ্ছে লকডাউনে রাজধানীর মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষকে হাসপাতালে যাতায়াতে বিনামূল্যে পরিবহন সেবা এবং উপার্জনহীন পরিবারের শিশুদের জন্য বিনামূল্যে গুঁড়ো দুধ পৌঁছে দেবেন তারা।
০১৬৮৪০২৩৪১১ নম্বরে ফোন করে চাহিদা জানালে এ দুটি সেবা পাওয়া যাবে।

টিএসসিতে নিজেরা খাবার রান্না করে ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন সৈকত ও তার বন্ধুরা।
এবারের কর্মসূচি সম্পর্কে সৈকত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সার্বিক সংকটের কথা চিন্তা করে শহরের অসহায় সংকটাপন্ন মানুষের জন্য তিনটি সেবা নিয়ে আমরা এ কার্যক্রম শুরু করেছি।
“আমরা মনে করি সরকারের একার পক্ষে পরিস্থিতি মোকাবেলা অসম্ভব। সংকটের এই সময়ে এসে সরকারি বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি।”
যাদের পক্ষে সম্ভব, তাদের এই কর্মতৎপরতায় সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সৈকত বলেন, “গত বছর নিজেদের জমানো ১৩ হাজার টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। পরে অনেক মানুষ সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন।
“সবার বিশ্বাস ও ভালোবাসার দায়ভার এবং বিবেকের তীব্র টানে এবারও দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না। এবছরও আমরা এই উদ্যোগ সচল রাখতে মানুষকে পাশে পাব বলে আশা করি।”
লক্ষ্মীপুরের ছেলে সৈকত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের মাস্টার্সে পড়ছেন। তিনি ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে গত ডাকসু নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পেয়েছেন।