পহেলা বৈশাখে বুধবার ঢাকায়
নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন।
আহমদ শফীর মৃত্যুর পর
তার পরিবারের পক্ষ থেকে যে হত্যামামলা হয়েছিল, তার তদন্ত করে একদিন আগেই প্রতিবেদন
দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তাতে হেফাজতের বর্তমান
আমির জুনাইদ বাবুনগরীসহ ৪৩ জনকে শফীর মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে।
শফীর মৃত্যু: তদন্তে বাবুনগরীসহ ৪৩ জনের দায় পেল পিবিআই
শফীর মৃত্যু নিয়ে পিবিআই’র প্রতিবেদন ‘ডাহা মিথ্যা’: বাবুনগরী
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের
প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “মওলানা শফী সাহেব আমার নির্বাচনী এলাকার ও আমার পাশের
ইউনিয়নের একজন আলেম ছিলেন। তার মতাদর্শ নিয়ে নানা কথা থাকলেও মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন
সজ্জন। যারা মামলা করেছেন, তারাও আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ।
“আমি চাই, মওলানা শফী সাহেবকে যারা নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে
ঠেলে দিয়েছে, তাদের উপযুক্ত, দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।”
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর
ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাটহাজারীর বড় মাদ্রাসার (আল-জামিয়াতুল আহলিয়া
দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা) দীর্ঘদিনের মহাপরিচালক আহমদ শফী।
মৃত্যুর আগের দিন
মাদ্রাসায় তুমুল হট্টগোলের মধ্যে শফী মহাপরিচালকের পদ ছাড়তে বাধ্য হন। তার ছেলে
মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আনাস মাদানিকেও বহিষ্কার করা হয়।

হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “নির্যাতনের
মাধ্যমে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট এবং তখনকার পত্রপত্রিকায় এবিষয়ে
সংবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রকাশিত হয়েছিল।
“হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা
শতবর্ষী মওলানা শফীর চরম অসুস্থতাকালে তার কক্ষ ভাংচুর করা, হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক
ঘণ্টা গাড়ি আটকে রাখা, অক্সিজেন টিউব খুলে নেওয়া, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা – এসবই
সবাই দেখেছে “
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে
লকডাউনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে হাছান
মাহমুদ বলেন, “জনগণকে মহামারীর হাত থেকে রক্ষার জন্যই সরকার লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিশ্বের দেশে দেশেও একই ব্যবস্থা।
“কিন্তু দুঃখজনক, মির্জা
ফখরুল সাহেবদের কথা শুনে মনে হয়, তারা চান, দেশে করোনা সংক্রমণ আরো ব্যাপক বৃদ্ধি পাক,
প্রতিদিন দেশে শতশত মানুষের মৃত্যু হোক, তাহলে তাদের রাজনীতিতে সুবিধা হয়।”