সেভিয়ায় মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে ১-০ গোলে হারে চেলসি। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের অগ্রগামিতায় সাত বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ইংলিশ দলটি। যেখানে তারা খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা লিভারপুলের বিপক্ষে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভ্রমণে বিধিনিষেধের কারণে দল দুটির মধ্যে শেষ আটের দুই লেগই সেভিয়ায় সরিয়ে নেওয়া হয়।
ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে ছিল পোর্তো। কিন্তু প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারেনি কোনো দলই। এই সময়ে কেউই শট লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। চেলসি নিতে পারে কেবল তিনটি শট, পোর্তো পাঁচটি।
অষ্টম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় চেলসি। ডি-বক্সে ঢুকে ম্যাসন মাউন্টের নেওয়া শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
৩৩তম মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পোর্তোর হেসুস করোনা। সতীর্থের ক্রস ডি-বক্সে ভালো পজিশনে পেয়ে উড়িয়ে মারেন মেক্সিকোর এই ফরোয়ার্ড।
৫৪তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে মাউন্টের পাস ডি-বক্সে খুঁজে পায় ক্রিস্টিয়ান পুলিসিককে। কিন্ত শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের এই ফরোয়ার্ড।
৬৫তম মিনিটে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা মেহদি তারেমির দুর্বল হেড সহজেই ঠেকিয়ে দেন চেলসি গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি। ম্যাচে এটিই ছিল লক্ষ্যে প্রথম শট।
সেই তারেমিই যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোলটি করেন। ডান দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে অসাধারণ ওভারহেড কিকে বল জালে পাঠান তিনি। কিন্তু দলকে পরের ধাপে নেওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। আসরে প্রথম হারের স্বাদ পেলেও পরের রাউন্ডে ওঠার আনন্দে মাঠ ছাড়ে টুখেলের দল।
চেলসির ভীষণ বাজে সময়ের মধ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দায়িত্ব নেন টুখেল। এরপর থেকে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৮ ম্যাচের মধ্যে এই নিয়ে কেবল দুটিতে হারল দলটি। লিগ টেবিলে তারা উঠে এসেছে শীর্ষ পাঁচে। আগামী শনিবার এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে খেলবে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে।
দিনের আরেক ম্যাচে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারায় বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৩-৩। অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে শিরোপাধারীদের বিদায় করে শেষ চারে উঠেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।