বুধবার তিনি ঘোষণাটি দেবেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে চলতি বছরের ১ মে’র মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
তালেবানকে দেওয়া ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ওই প্রতিশ্রুতি পূরণ ‘কষ্টকর’ হবে বলে বাইডেন আগেই জানিয়েছিলেন।
ওয়াশিংটন এবার সেনা প্রত্যাহারের শেষদিন হিসেবে ৯/১১ কে বেছে নিয়েছে। ২০ বছর আগে এই দিনেই পেন্টাগন ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র এবং সামরিক জোট নেটোর কর্মকর্তারা বলছেন, আফগানিস্তানে সহিংসতা কমানোর ক্ষেত্রে তালেবানরা এখন পর্যন্ত তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি।
তবে সেনা প্রত্যাহারের সময়কালে তালেবানরা যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালায় তাহলে কট্টরপন্থি এ সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘জোরালো প্রতিক্রিয়া’ দেখবে বলে সতর্ক করেছেন বাইডেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
এদিকে তালেবানরা জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আগে তারা আফগানিস্তান নিয়ে কোনো সম্মেলনে যোগ দেবে না।
তুরস্কে আগামী মাসে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি সম্মেলনটি হওয়ার কথা। তালেবানরা অংশ না নিলে ওই সম্মেলন নাও হতে পারে।
বুধবার বাইডেনের ঘোষণার দিনই ব্রাসেলসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন নেটো মিত্রদের আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিষয়টি সবিস্তারে জানাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে, প্রাণ গেছে ২ হাজারের বেশি মার্কিন সেনার। ওয়াশিংটন এখন এই যুদ্ধ থেকে সরে এসে ‘সত্যিকারের হুমকিগুলোর’ দিকে মনোযোগ দিতে চায় বলে মত বিশ্লেষকদের।