ভবনটি নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ৩২২ কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
৪ এপ্রিল দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ৫ মে সকাল ১১টার মধ্যে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে; একই দিন দুপুর দুইটায় দরপত্র খোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।
প্রকল্পের আওতায় এফডিসিতে সিনেমা হল, শুটিং ফ্লোর, সুইমিংপুল, আবাসিক হোটেল, স্টুডিওসহ বিভিন্ন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ১৫তলা ভবন (তিনটি বেইজমেন্টসহ) নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় এফডিসির ৩ ও ৪ নম্বর শুটিং ফ্লোর, এডিটিং ভবন ১ ও ২, টিনশেড নিলামে বিক্রি করে স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হয়েছে। ছবি: সাইমুম সাদ
ইতোমধ্যে প্রকল্পের আওতায় এফডিসির ৩ ও ৪ নম্বর শুটিং ফ্লোর, এডিটিং ভবন ১ ও ২, টিনশেড নিলামে বিক্রি করে স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব পাওয়ার পর পরবর্তী কাজ শুরু করবেন।
প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পেয়েছে ডেস্টারাস কনসাল্টিং ফার্ম। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে প্রকল্পের নকশাও প্রস্তুত করেছে।
চলচ্চিত্র শিল্পের মন্দার মধ্যে লোকসান ও দেনার দায়ে ধুঁকতে থাকা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনকে ‘স্বাবলম্বী’ করতেই এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
এ ভবনের শুটিং ফ্লোর, আবাসিক হোটেল, স্টুডিও থেকে আয়কৃত অর্থ এফডিসির কর্মীদের বেতনাদিসহ অন্যান্য খাতের ব্যয় মেটানো হবে; ভবনটি নির্মিত হলে এফডিসির আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে পুরোনো জৌলুশ ফিরবে বলে আশা করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।