বৃহস্পতিবার সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিউনিটিকে সংযুক্তিকরণ এবং স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতকে শক্তিশালী করতে অংশীদার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে নিয়ে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে।
বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর মোর্চা সিএসও অ্যালায়েন্সের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্র্যাক জানিয়েছে, ৩৮ জেলার ৫ কোটি ৮০ লাখ বাসিন্দার কাছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ, মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাজ করা এবং ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছানো ও ভুল তথ্য শোধরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি থাকা এই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোকে এই উদ্যোগের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
জেলাগুলো হলো—ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, সিলেট, মৌলভীবাজার, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদি, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, বরিশাল, রাজশাহী, বগুড়া, নড়াইল, নীলফামারী, গাজীপুর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মাদারিপুর, নওগাঁ, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, নাটোর, টাঙ্গাইল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, মানিকগঞ্জ, গাইবান্ধা, দিনাজপুর এবং ময়মনসিংহ।
নতুন উদ্যোগের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তায় ব্র্যাক গত ৫ মাস ৬টি জেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি পাইলটিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
এই পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) শনাক্তকৃত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় সংক্রমণ কমাতে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে অংশীদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করবে ব্র্যাক।
সিএসও অ্যালায়েন্সের সমন্বয়ক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবারের সভায় প্রিপ ট্রাস্টের প্রধান অ্যারোমা দত্ত, আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক এহসানুল হক, হাসিন জাহান, সুলতানা কামাল, মালেকা বানু, আরডিআরএস চেয়ারপারসন এসএন কৈরি, ওয়াটার এইডের আঞ্চলিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম অংশ নেন।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধের যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদী। কমিউনিটি অংশীদারত্ব ছাড়া এটা জয় করা সম্ভব নয়। সম্পদের অপ্রতুলতা থাকলেও আমরা আমাদের যা কিছু আছে, তা নিয়েই এই সামাজিক দুর্গ গড়ে তোলার যুদ্ধে নেমে পড়েছি।
”অল্প ব্যয়ের এই কাজে সঠিকভাবে অর্থায়ন হলে আমরা আরও দীর্ঘমেয়াদী সুফল পাব আর সরকারের করোনা প্রতিরোধের কাজ আরও গতিময় হবে।”
প্রতিরোধ, করোনাভাইরাস কেস ব্যবস্থাপনায় রেসপন্স এবং টিকার প্রচার এই তিন ধাপে সামাজিক দুর্গ গড়ার এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছে ব্র্যাক।