ক্যাটাগরি

স্ট্রিকের শাস্তি: জিম্বাবুয়ের ক্রীড়াঙ্গনের অন্ধকারতম দিন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি গত বুধবার স্ট্রিককে সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার কথা জানায়। শুরুতে প্রতিবাদ করলেও পরে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী পাঁচটি ধারা ভঙ্গের দায় স্বীকার করেন স্ট্রিক। শাস্তিও মেনে নেন ৪৭ বছর বয়সী সাবেক এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

পরদিন বিবৃতিতে মুকুহলানি জানান, লোভের বশে নিজের অবস্থানের অপব্যবহার করেছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক স্ট্রিক।

“এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক অধ্যায়, যা ইতিহাসে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে অন্ধকার দিন হিসেবে জায়গা করে নিতে পারে।”

“স্ট্রিক ছিলেন অনেকের খুব পছন্দের একজন ব্যক্তি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আদর্শ। কিন্তু এখন আমরা ও সারা বিশ্বই জানে, স্ট্রিক দুর্নীতিগ্রস্ত, লোভী ও স্বার্থপর চরিত্রেরও ছিলেন। যিনি তার মর্যাদা ও অবস্থানের অপব্যবহার করেছেন নোংরা সুবিধার জন্য।”

আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের কোচ থাকার সময় ও নানা সময়ের বিভিন্ন ঘরোয়া দলের কোচ থাকার সময় বিধি ভঙ্গের এই ঘটনাগুলোয় জড়িত হন স্ট্রিক।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি আইপিএল, বিপিএল ও আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে নানা ভূমিকায় দায়িত্ব পালনের সময় এসবে জড়ান তিনি। জুয়াড়ির প্রস্তাব প্রক্রিয়াকে সহজতর করা, দলের ভেতরের তথ্য দেওয়া ও আরও নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

জিম্বাবুয়ের সর্বকালের সেরা বোলার মনে করা হয় স্ট্রিককে। ৬৫ টেস্ট খেলে তার উইকেট ২১৬টি। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৮০ উইকেটের বেশি নেই আর কারও। ওয়ানডেতে ১৮৯ ম্যাচে উইকেট ২৩৯ টি। দেড়শ উইকেট নেই তার দেশের আর কারও।

এছাড়াও ব্যাট হাতে রান প্রায় ৪ হাজার। ১টি টেস্ট সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে ২৪টি আন্তর্জাতিক ফিফটি। জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দেন ২১ টেস্ট ও ৬৮ ওয়ানডেতে। কৃতকর্মের শাস্তি হিসেবে এখন তাকে কাটাতে হবে ক্রিকেটবিহীন জীবন।