বিবিসি জানায়, শুক্রবার সকালে পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে মের্কেল বলেছেন, “দুঃখজনকভাবে আজ আমাকে আবার বলতে হচ্ছে: পরিস্থিতি গুরুতর, খুবই গুরুতর এবং আমাদের সবারই একে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত।”
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ জার্মানিকে গ্রাস করেছে। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা সাহায্যের জন্য মরিয়া হয়ে আছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের কর্মীরা একের পর এক বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের আবেদন জানাচ্ছে। এই আবেদন উপেক্ষা করার আমরা কে?”
জার্মানির ৭০ টি হাসপাতালের তথ্যানুযায়ী, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তরুণদের সংখ্যা বাড়ছে।
আইসিইউগুলো দ্রুতই পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হার ১৬০ পেরিয়েছে৷
জার্মানির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ২১ হাজার ৬৯৩ জনের ভাইরাস শনাক্ত হওয়া এবং ৩৪২ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।
জার্মানির এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে আইন বদলে এমার্জেন্সি ব্রেক চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন মের্কেল। মাহামারী নিয়ন্ত্রণের জন্য ফেডারেল সরকারের হাতে বাড়তি ক্ষমতা আনতে তিনি সংক্রমণ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের উদ্যোগও শুরু করেছেন৷
নতুন আইন পাস হলে এর আওতায় মহামারীর সময় প্রতি এক লাখ মানুষে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হার একশ’ পেরোলেই স্থানীয়, আঞ্চলিক ও রাজ্য প্রশাসনকে ফেডারেল নিয়ম মানতে হবে। তখন তাদের ‘একলা চলো রে’ নীতি নেওয়ার সুযোগ আর থাকবে না৷
কিন্তু মের্কেলের এই উদ্যোগ বাধার মুখে পড়ছে৷ এমারজেন্সি ব্রেক চালুর পক্ষে নীতিগতভাবে দেশে মতৈক্য থাকলেও খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে দরকষাকষি চলছে৷
লকডাউনবরোধী কট্টর ডানপন্থি পার্টি অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) মের্কেলের বিরোধিতা করছে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এমারজেন্সি ব্রেক চালু করেও জার্মানিতে সংক্রমণের ‘তৃতীয় ঢেউ’ থামানো যাবে না৷