আধুনিক
জীবনে কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনের ব্যবহার থেকে দূরে থাকা সম্ভব নয়। আর ঘরে
থেকে কাজ করতে হলেও এসব যন্ত্রের ওপর নির্ভশীল থাকতেই হয়।
তবে
এই ধরনের যন্ত্রের পর্দা থেকে বের হওয়া নীল আলো বা ‘ব্লু লাইট’ ত্বকের নানান ক্ষতি
করে। এরমধ্যে রয়েছে অকালে বার্ধক্যের ছাপ ও ত্বকের রংয়ের তারতম্য।
এই
সমস্যার কথা মাথায় রেখে প্রসাধনী তৈরি প্রতিষ্ঠানগুলো নীল আলো থেকে রক্ষা পাওয়ার পণ্য
বাজারে ছাড়া শুরু করেছে। এসব প্রসাধনী ব্যবহার করা ছাড়াও নিজে থেকে কিছু রক্ষা কবচ
গ্রহণ করতে পারেন।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক
একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ:
ত্বকের ক্ষতি পোষাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন- টমেটো, আখরোট খাওয়া উপকারী।
ঘরেও এসপিএফ ক্রিম ব্যবহার:
সূর্যের অতিবেগুণি রশ্মির মতোই ক্ষতিকর বৈদ্যুতিক পর্দার নীল আলো। তাই কম্পিউটারের
সামনে কাজ করতে বসলে এসপিএফ বা ‘সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর’ যাকে সোজা ভাষায় বলে সানস্ক্রিন
ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। আর প্রতি এক ঘণ্টা পর পর এই ক্রিম মাখতে হবে।
মুখ ধোয়া:
অনেকক্ষণ বৈদ্যুতিক পর্দার সামনে থাকলে ত্বকে দূষিত মৌল জমতে থাকে। তাই কিছুক্ষণ বিরতির
পর পর মুখ ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। এই অভ্যাস দেহে চাঙাভাব আনার পাশাপাশি অলসভাবও কমায়।
তাছাড়া সবসময়ই উপদেশ দেওয়া হয় কম্পিউটারের স্ক্রিন যেন অন্তত ১৮ ইঞ্চি দূরে থেকে।
‘আন্ডার আই জেল’:
খেয়াল করে থাকবেন যতবার কম্পিটারের পর্দা বা মোবাইলের দিকে তাকান, ততবার চোখ সরু বা
একটু হলেও কুঁচকে তাকাচ্ছেন। এর ফলে চোখের চারপাশে বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এই
সমস্যা এড়াতে ভালো মানের ‘আন্ডার আই জেল’ ব্যবহার করা উচিত। পাশাপাশি চোখ দিয়ে পানি
পড়ার সমস্যাও কমায় এই জেল।
অন্তত দুই লিটার পানি পান:
বৈদ্যুতিক পর্দা থেকে আসা তাপ ত্বকে শুষ্কতা তৈরি করে। তাই দিনে দুই লিটার পানি পানের
অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি ত্বকও আর্দ্র থাকবে।
আরও পড়ুন-
ঘরেও সানস্ক্রিন ব্যবহারের গুরুত্ব