শুক্রবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, এদের সবার মৃত্যু
হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীতে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৪৫ জনে।
নতুন করে ৩০৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত সিভিল
সার্জন মোহাম্মদ আসিফ খান।
মোট এক হাজার ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০৫ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।
সে হিসেবে শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।
আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি। এর একদিন
পরই মৃত্যু হলো আটজনের।
বৃহস্পতিবার ৩৬৭ জনের নমুনায় কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছিল। শতাংশের হিসেবে যা
ছিল ২৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এরআগে ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫৪১ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস
শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ২০ শতাংশ।
তার আগে ১১ এপ্রিল আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় একদিনে সর্বাধিক নয়জনের মৃত্যু
হয়েছিল।
নমুনা সংগ্রহের
ভ্রাম্যমান বুথ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় এক মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে
চট্টগ্রামে অন্তহীন ফাউন্ডেশনের নমুনা সংগ্রহের ভ্রাম্যমান বুথ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অন্তহীন ফাউন্ডেশন’ গত বছরের ১০ অগাস্ট থেকে ভ্রাম্যমান
বুথে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের এই কাজ শুরু করে।
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত এক হাজার ৬৩৬টি নমুনা সংগ্রহ করে এই
ভ্রাম্যমান বুথ। ওই সময় করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
এরপর সম্প্রতি সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১০ এপ্রিল থেকে নগরীর ছয়টি স্পটে আবার
নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান সংগঠনটির
প্রজেক্ট লিডার ও পরিচালক শরফুদ্দীন চৌধুরী কাজল।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বেড়েছে।পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে নির্ধারিত
জায়গাগুলোয় মানুষের ভিড়। তাই সুস্থদেরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রচণ্ড।
“এমন পরিস্থিতিতে আবারও নগরীতে ঘুরে ঘুরে নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছি। ভ্রাম্যমাণ
গাড়ির মাধ্যমে ছয়টি নির্ধারিত এলাকায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।”
তাদের সংগ্রহীত নমুনা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস
ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) পরীক্ষা করা হয় বলেও জানান শরফুদ্দীন চৌধুরী কাজল।
ভ্রাম্যমান বিশেষায়িত গাড়িতে করে নমুনা সংগ্রহ করা হয় সপ্তাহে ছয়দিন। সরকারি
ডিসপেনসারিগুলোর সামনে থাকে এই ভ্রাম্যমান বুথ।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল
এন্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি) এর সহায়তায় এই কার্যযক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সামর্থ্যবানদের জন্য ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হলেও আর্থিকভাবে অসচ্ছল
ব্যক্তিদের কাছ থেকে ফি নেয়া হয় না বলেও জানান উদ্যোক্তরা।
নমুনা সংগ্রহের পর কারো ফলাফল পজেটিভ এলে তা এসএমএস ও ফোন করে ওই ব্যক্তিকে
জানিয়ে দেয়া হয়।
নমুনা দিতে http://www.antaheenfoundation.org/ এ ঠিকানায় গিয়ে নিবন্ধন
করা যায়। পাশাপাশি ০১৬৭৮০৬২৫৩৫ নম্বরে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানা যাবে।