বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ধূসর মাইলফলকে পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিন ফরাসী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জিইওডিইএস ওয়েবসাইটে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ৩০০ জনের মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়েছে।
“এই অগ্নিপরীক্ষা থেকে বের হওয়ার লক্ষ্যে আমাদের সমস্ত শক্তি একত্রিত করা হয়েছে, আমরা কারও চেহারা বা নাম ভুলে যাবো না,” টুইটারে এমনটাই বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
করোনাভাইরাসে মৃত্যু তালিকায় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থানে থাকা ফ্রান্সে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও ৫২ লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
৫ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি মৃত্যু নিয়ে এ সংক্রান্ত তালিকায় সবার উপরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র; এরপর আছে ব্রাজিল, মেক্সিকো, ভারত, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও রাশিয়া। এরপরেই ফ্রান্স।
রয়টার্সের হিসাবে করোনাভাইরাস এরই মধ্যে বিশ্বের ৩০ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরের শেষভাগে, দ্বিতীয় লকডাউনের শেষের দিকেও ফ্রান্সে ভাইরাসে মৃত্যু ছিল ৫২ হাজারের সামান্য বেশি; ৫ মাস হওয়ার আগেই তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেল।
একমাস ধরে দেশটি কোভিড-১৯ এ প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জনের মৃত্যু রেকর্ড করছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ৫ হাজার ৯২৪ জন কোভিড রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছে; একদিন আগেও এ সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯০২।
২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৩৮ হাজার ৪৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে; আগের দিন দৈনিক শনাক্ত ছিল ৪৩ হাজার ৫০৫।
ফ্রান্সে এখন করোনাভাইরাসে ৬০ বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের মৃত্যুর হার কমে এসেছে। নভেম্বরের মাঝামাঝিতেও দেশটি প্রতি সপ্তাহে এক হাজার ৫০০র বেশি ‘সিনিয়র সিটিজেনের’ মৃত্যু দেখেছে, জানুয়ারির প্রথম ভাগে এটি নেমে ৮০০তে দাঁড়ায়। গত সপ্তাহে এ সংখ্যা ছিল ৪৮।
এরপরও ফ্রান্স তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে অবসরে যাওয়া ব্যক্তিদের ‘কেয়ার হোম’গুলোকেই অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।