যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা নেওয়ার পর বাইডেনের সঙ্গে এটিই হবে প্রথম কোনও বিশ্বনেতার সাক্ষাৎ। শুক্রবার দুই নেতার বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
একদিনের এ বৈঠকে চীনের বাড়তে থাকা প্রভাব, মানবাধিকার ইস্যু, হংকং এবং শিনজিয়াং পরিস্থিতি নিয়ে তারা আলোচনা করতে পারেন, বলছেন কর্মকর্তারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেনের বৈদেশিক নীতির মূলে আছে মিত্রতার বন্ধন দৃঢ় করা এবং চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দুইই। আর এই দু’ক্ষেত্রেই জাপান গুরুত্বপূর্ণ।
বৈঠকে দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র-জাপান নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব এবং অন্যান্য আরও নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা নিয়েও আলোচনা করবেন। তাদের আলোচনায় স্থান পেতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ মহামারী এবং তাইওয়ান প্রণালীতে স্থিতিশীলতার বিষয়টিও।
এশিয়ায় জাপান যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশ। এ অঞ্চলে গত কয়েকবছর ধরে চীনের প্রভাব বেড়েছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাইডেন প্রশাসন জাপানকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
গত মাসে বাইডেন অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’ এর নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকও করেছেন। চীনের প্রভাব মোকাবেলায় এই `কোয়াড’ একটি পন্থা হতে পারে বলে মনে করেন কোনও কোনও বিশ্লেষক।