ক্যাটাগরি

মাঠের লড়াইয়ের আগে টুখেলের গুয়ার্দিওলা স্তুতি

এফএ কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শনিবার মুখোমুখি হবে চেলসি ও ম্যানচেস্টার
সিটি। শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে গুয়ার্দিওলার কোচিং নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন টুখেল।

“(আমার ওপর) গুয়ার্দিওলার প্রভাব ব্যাপক। যখন তিনি বার্সেলোনার কোচ
ছিলেন, তখন আমি প্রায় প্রতিটি ম্যাচ দেখতাম। যে স্টাইলে খেলে তারা সাফল্য পেত, সেটা
নিয়ে আমি মুগ্ধ ছিলাম। ম্যাচগুলো দেখে আমি অনেক কিছু শিখেছিলাম এবং খেলাটাকে আরও বেশি
বুঝতে পেরেছিলাম।”

বুন্ডেসলিগায় দুজনে প্রতিপক্ষ ছিলেন। গুয়ার্দিওলা বায়ার্ন মিউনিখের
দায়িত্বে থাকার সময়ে মেইঞ্জ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ ছিলেন টুখেল। তবে কখনোই গুয়ার্দিওলার
দলের বিপক্ষে জয়ের দেখা পাননি তিনি।

২০১৩ সালে বায়ার্নের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বার্সেলোনায় দারুণ সময় কাটে
গুয়ার্দিওলার। ২০০৮-১২ সময়ে কাতালুনিয়ার দলটির হয়ে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ১৪টি শিরোপার
স্বাদ পান এই স্প্যানিশ কোচ। গত জানুয়ারিতে চেলসির দায়িত্ব নেওয়া টুখেল জানালেন, গুয়ার্দিওলার
মুখোমুখি হতে পারা তার জন্য আনন্দের।

“(বার্সেলোনায় তার কোচিং দেখাটা) আমার জন্য অনেক বড় শিক্ষা। সেসময়
আমি একটা একাডেমির কোচ ছিলাম; পরে মেইঞ্জের কোচ হলাম। বলতে গেলে তার প্রতিটি ম্যাচই
ছিল একটা শিক্ষা এবং পরে তার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। সর্বোচ্চ পর্যায়ে
তার মুখোমুখি হতে পারাটা ছিল আনন্দের।”

চলতি মৌসুমে চার শিরোপা জয়ের পথে ছুটছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রিমিয়ার
লিগে পঞ্চম স্থানে থাকা চেলসির চেয়ে ২০ পয়েন্ট এগিয়ে আছে তারা। আর লিগ কাপের ফাইনালে
ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টারের দলটি। বর্তমানে দুই দলের মধ্যে
স্পষ্ট ব্যবধানটা মানছেন টুখেল। তবে, প্রতিশ্রুতি দিলেন পরের মৌসুমে সিটিকে তাড়া করবে
তার দল।

“দুই দলের মধ্যের পার্থক্যটা আমাদের মেনে নিতে হবে। যদি আমরা গত
কয়েক বছরের দিকে লক্ষ্য করি, ব্যবধানটা মেনে নিতে হবে। কিন্তু আমরা নিজেদের ছোট মনে
করি না।”

“আগামী মৌসুমের প্রথম দিন থেকে আমরা তাদের তাড়া করব এবং চেষ্টা করব
ব্যবধান কমিয়ে আনতে। ইউরোপে দুটো দলকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা যায়: ম্যানচেস্টার
সিটি এবং বায়ার্ন মিউনিখ।”