শুক্রবারের এ ধর্মঘটে বাড়িতে থেকেই জান্তাবিরোধী আন্দোলনে নিহত ৭০০র বেশি মানুষকে স্মরণ করতে এবং ঘর থেকে বের হলে কালো কাপড় পরতে বলা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে তাদের সরব অবস্থান ব্যক্ত করেছে; রক্ত দিয়ে, নির্যাতন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে দিনের পর দিন তারা জান্তাবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়নের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের কর্মীরা প্রতিবাদের নিত্যনতুন উপায় বের করার চেষ্টা করছেন। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার এ ‘নীরব ধর্মঘট’ ডাকা হয়েছে।
“চলুন, সড়কগুলোকে নীরব করে ফেলি। নিজেদের জীবন বিলিয়ে দেওয়া শহীদদের প্রতি শোক দেখাতে আমরা এই নীরব ধর্মঘট করবো। এ নিঃশব্দ কণ্ঠই উচ্চস্বরে কথা বলবে,” ফেইসবুক পেইজে এমনটাই লিখেছেন বিক্ষোভকারীদের অন্যতম নেতা এই থিনজার মং।
‘নীরব ধর্মঘটের’ আগের রাতেই মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মিংগিয়ানে সহিংসতায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রেডিও ফ্রি এশিয়া।
বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বাহিনী সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভের দুই সুপরিচিত সংগঠকের পাশাপাশি অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এক অভিনেতা ও এক গায়ককে গ্রেপ্তার করেছে।
একইদিন সেনাবাহিনী মান্দালয়ের একটি বৌদ্ধ মঠেও অভিযান চালায়। সেখান থেকেও তারা ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে মিয়ানমার নাও’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।