শুক্রবার নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ও সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে স্বেচ্ছাসেবক টিম বেটার ফিউচার বাংলাদেশ, পুর্বাশার আলো, রেড ক্রিসেন্ট, তৃণমুল নাট্যদল, সার্চ, নির্বাণ ক্লাব ও সিপিপি এই ত্রাণ বিতরণ কাজে সহযোগিতা করে।
খাদ্য সামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে ছিল সাত কেজি করে চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি আলু, এক কেজি চিনি ও একটি সাবান।
পাশাপাশি ২০৬ জনকে মোট
এক লাখ ৩ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া
হয়।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেন, “করোনাকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক নগরী ও জেলার অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
“হতদরিদ্র কোনো পরিবার যাতে সরকারি ত্রাণ সহায়তার বাইরে না থাকে সে ব্যাপারে কঠোরভাবে তদারকি করা হবে। এ পরিস্থিতিতে কেউ যাতে অভূক্ত না থাকে সে বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।”
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের গরীব-দু:খী মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখেন। করোনাকালে কেউ যাতে অনাহারে ও কষ্টে না থাকে তা দেখার জন্য তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
“গত বুধবার থেকেই অসহায় ও অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। কিছু দুঃস্থ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়েও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আজ এক হাজার অস্বচ্ছল পরিবারের সদস্যদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০৬ জনকে নগদ অর্থ সহায়তা করেছি।”
২০ হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী মজুত থাকার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, “প্রতিদিনই আমরা গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করব। শুধু মহানগরী এলাকা নয়, উপজেলা পর্যায়েও এ কার্যক্রম চলমান।”
এর
আগে বৃহস্পতিবার নগরীর টাইগার পাসে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ কামাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম, স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব চক্রবর্তী প্রমুখ।