২০১৭ সালে কলেম্বার পি সারা ওভালে সেই জয়ে মিরাজের ছিল উল্লেখযোগ্য অবদান। প্রথম ইনিংসে উইকেট নিয়েছিলেন ৩টি, ব্যাট হাতে ৯ নম্বরে নেমে করেছিলেন ২৪। দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে এনে দেন প্রথম ব্রেক থ্রু। পরে রান তাড়ায় জয়ের সময় তিনি ছিলেন উইকেটে।
সেই মিরাজ এখন আরও পরিণত। ব্যাটে-বলে তার কাছে দলের চাওয়া আরও বেশি।
কাতুনায়েকেতে দলের অনুশীলনের ফাঁকে শুক্রবার বিসিবির ভিডিও বার্তায় মিরাজ বললেন, চার বছর আগের সেই জয় এখনও দোলা দেয় তাদের।
“আমরা যখন শততম টেস্ট জিতেছিলাম, ভালো লেগেছিল। শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম জিতেছিলাম শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। ওই সময় অবশ্যই ভালো লেগেছিল। আমাদের দলের সবার প্রতিজ্ঞা ছিল যে ভালো ক্রিকেট খেলব এবং যে করেই হোক, ম্যাচটা জিততে হবে। আমাদের যখন টিম মিটিং হয়েছিল, প্রতিটি ক্রিকেটারের ভেতর প্রতিজ্ঞা ছিল যে কিছু একটা করতে হবে এবং সর্বোচ্চটা দিতে হবে।”
২০১৭ সালের সফরে স্মরণীয় সেই জয়ের পর মাঠ ছাড়ছেন মুশফিক ও মিরাজ। ফাইল ছবি।
“যখন খেলা শুরু হয়েছিল, প্রতিটি ক্রিকেটারের ওই মানসিকতা ছিল ও শরীরী ভাষা ছিল যে জিততে হবে। ভালো-খারাপ সময় গেছে পাঁচদিন ধরে। তবে শেষ পর্যন্ত জেতার পর আনন্দ লেগেছিল আমাদের। খুব আনন্দ পেয়েছিলাম ম্যাচটি জেতার পর।”
সেবার প্রথম টেস্টে ২৫৯ রানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল। টেস্ট সিরিজের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হয় একই ফল, ১-১ ড্র। তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশের সফলতম সফর বলা যায় সেটিকে। এরপর ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতেও দারুণ খেলে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ শেষ বলে হেরে যায় ভারতের কাছে।
এবার দেশের ক্রিকেটের ভীষণ দুঃসময়ে শ্রীলঙ্কা সফরে গেছে বাংলাদেশ। এই চ্যালেঞ্জ জয়ে শ্রীলঙ্কায় অতীতের সাফল্যকে প্রেরণা মানছেন মিরাজ।
“শ্রীলঙ্কায় আমরা আগে যে কবারই খেলেছি, খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। নিদাহাস ট্রফিতে অল্পের জন্য শিরোপা জিতিনি। ওদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে (২০১৭ সালে) ওরা একটা ম্যাচ জিতেছে, আমরা একটা। টেস্টে ওরা একটা, আমরা একটা। ওদের চেয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে নেই ওদের মাটিতে। আমাদের যদি একই নিবেদন ও একই একাগ্রতা থাকে, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।”
দুই দিন অনুশীলন শেষে কাতুনায়েকেতে শনি ও রোববার নিজেদের মধ্যে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর দল যাবে ক্যান্ডিতে। পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট ২১ এপ্রিল থেকে।